নির্বাচন আসলেই সবারই প্রতিশ্রুতি থাকে, খুব শীর্ষই কাজ শুরু হবে। কিন্তু শীর্ষই যে কতটা কাছে তা কারোই জানা নেই। তাই কাজ আর হয় না।
বলতেছি, দক্ষিন সুরমা লালাবাজার ইউনিয়নের সড়কের কথা। যেটি লালাবাজার থেকে বাঘরখলা সংযোগ ঘটিয়েছে। যে সড়কটি কিনা লালাবাজার ইউনিয়নের প্রধান সড়ক।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৬নং লালাবাজার ইউনিয়নের প্রায় সবকটি সড়কের অবস্থা বেহাল। ক্রমশই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোনো অগ্রগতি। দুর্গতিই এখন গতি! খানাখন্দে গর্তে ভরা রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে ‘মরণ ফাঁদে’। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে সড়ক সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিক দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাসেই তা থেমে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লালাবাজার বাঘরখলা, হকিয়ার চর, বিবিদইল থেকে লালাবাজার পর্যন্ত সড়কের দশা বেহাল। রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে খানাখন্দে গর্তে ভরা। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্ত কোথাও হাঁটু, কোথাও উরু পর্যন্ত গভীর। দেখলে মনে হবে পুকুর। কিছু কিছু জায়গায় কোনোদিন পিচ ছিল বলে মনে হয় না। রাস্তার বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে সড়ক অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায়শই এসব গর্তে যাত্রীবাহী গাড়ি দেবে যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শুধু এ রাস্তা নয় বাঘরখলা, হকিয়ার চর পয়েন্ট থেকে নাজির বাজারের ২টি রাস্তা একি বেহাল দশা।
লোকমুখে শুনা যায় ইউনিয়নে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যান জামায়াত সমর্থক হওয়ায় ইউনিয়নের যে কোন কাজ খুব ধীর গতিতে হয়। ইউনিয়নবাসী যদি জামায়ত সমর্থক ব্যক্তিকে আমাদের মুল্যবান ভোট না দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীকে ভোট দিলে আমাদের ইউনিয়নের এ দশা হতো না।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ সমাজসেবক সাবেকরা এই অভিয়োগ অস্বীকার করেন।
সবশেষে সর্বোপরী সবার দাবী, দ্রুত রাস্তাগুলো সংস্কার করা হোক।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ