ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষে উল্টো নিহতদের নামেই মামলা করেছে বিজিবি। নিহত ২ জনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আড়াইশ' জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির নামও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এতে চরম আতঙ্কে আছেন বহরমপুর গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিহতের স্বজনদের মামলা নেয়নি থানা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানায়, দুটি মামলা করেন ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নায়েক সুবেদার জিয়াউর রহমান। একটিতে গরু পাচার ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে সংঘর্ষে নিহতের মধ্যে সাদেক ও নবাব এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল কাশেমকে আসামি করা হয়। অপর মামলায়, সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো আড়াইশ' জনকে আসামি করা হয়েছে।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আমিরুজ্জামান জানান, একটি বিশেষ আইনে ও অন্যটি সরকারি কাজে বাধা দান, এই দুইটা মামলা হয়েছে। একটিতে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। নিহত তিনজনের মধ্যে সাদেক ও নবাব এই দুজনের নাম এজাহারে আছে। আর অন্য মামলাটিতে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই আড়াইশো আসামি রয়েছে।
সংঘর্ষ ও মামলার পর জেলার বহরমপুরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন। তাদের অভিযোগ, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলেও তা এজাহারভূক্ত করতে গড়িমসি করছে পুলিশ। যদিও তা অস্বীকার করেন থানার ওসি।
নিহত পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা মামলা করার আগে বিজিবি মামলা করে দিয়েছে। রাতে আমরা ছিলাম আমাদের বিজিবি থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তারা বলেন, মামলা আমরা করবো কী, তার আগে বিজিবি গিয়ে থানা বুক করেছে। রাত নটা পর্যন্ত ছিলাম ওখানে। দেখলাম বিজিবি ওখান থেকে হটে না।
এদিকে সময় সংবাদকে ঠাকুরগাঁও হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে আমিরুজ্জামান বলেন, আমার কাছে কেউ আসেনি। আমার দরজা সবার জন্য খোলা।
গরু চোরাচালানের অভিযোগে গত মঙ্গলবার বহরমপুর গ্রামবাসীর গরু জব্দ করার সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। এ সময়, এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বিজিবি। এতে তিনজন নিহত হন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন