ভুল প্রশ্ন দিয়ে নেয়া হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। এ নিয়ে উদবিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না, তাদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে যাতে এ ধরণের সমস্যা না হয়, সেজন্য ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে নয়া দিগন্তের কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে ২০১৯ সালের সিলেবাসে অধ্যয়ন করা এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম দিন গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্টদের গাফলতির কারণে প্রায় শতাধিক নিয়মিত পরীক্ষার্থী বাংলা রচনামূলক বিষয়ে ২০১৮ সালের পুরাতন সিলোসের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দেয়। যদিও নৈমেত্তিক পরীক্ষা দেয় ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে।
জানা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরীক্ষার পর্যবেক্ষক, নিরীক্ষক এমনকি ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী পরীক্ষাথীরাও ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে একাধিক পরীক্ষার্থী বিষয়টি খেয়াল করে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবগত করেন। পরে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার্থীদের খাতা যাচাই করে এর সত্যতা খোঁজে পায়।
ইতোমধ্যে ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিভাবকরা ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে এবং পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শিক্ষকদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইএনও) কাউসার আজিজ ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তার কার্যালয়ে তলব করে ভুল প্রশ্ন পত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষকরা জানান, ভুলবশত প্রশ্ন পত্র পরিবেশন করার সময় নিয়মিত ছাত্রদের অর্থাৎ ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষা বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং ওই পরীক্ষার্থীদের উত্তর পত্র আলাদা খামে করে বোর্ডে প্রেরণ করা হবে। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ তাৎক্ষণিকভাবে মুঠো ফোনে শিক্ষাবোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী সচিব মোঃ মতিয়ার রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন