২০২৯ সালের আগে এমন 'সুপার ব্লাড উল্ফ মুন' আর দেখা যাবে না
বছরের প্রথম পূর্ণিমায় এবং চন্দ্রগ্রহণে 'সুপার ব্লাড উল্ফ মুন' দেখার অপীখায় রয়েছে সারাবিশ্বের হাজারো মানুষ। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার মানুষ এই চন্দ্রগ্রহণের পুরোটা দেখতে পাবেন।
তবে, এবারের চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে বিরাট কৌতূহল। এই কৌতূহলের কারণ এর নাম। সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এবারের চন্দ্রগ্রহণকে সুপার ব্লাড উল্ফ মুন বলার কারণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
সুপার ব্লাড উল্ফ মুনের বিশেষত্ব হলো- একই রেখায় সূর্য ও চাঁদের ঠিক মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে পৃথিবী যখন অতিক্রম করে শুধুমাত্র তখনই এই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। এসময় সূর্য পৃথিবীর পিছনে অবস্থান করার ফলে চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার নিচে চলে যায়।
তবে, ছায়ায় চলে গেলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে ধাক্কা লেগে সামান্য সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাবে। সে কারণে চাঁদ পুরোপুরি অন্ধকার আলোক বিচ্ছুরণের কারণে গাঢ় লাল হয়ে উঠবে।
এছাড়াও সাধারণ চাঁদের থেকে সুপার ব্লাড উল্ফ মুন অনেক বড় ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন আকারে সাধারণ সময়ের চাঁদের থেকে সাত শতাংশ আর উজ্জ্বলতায় পনেরো শতাংশ বেশি হতে পারে এই সুপার ব্লাড উল্ফ মুন।
এসময় চাঁদ পৃথিবীর সবচাইতে কাছে চলে এটিকে আকারে এত বড় দেখা যাবে। এই কারণে এর নামকরণে সুপার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে শীতপ্রধান দেশগুলোতে জানুয়ারির প্রচন্ড শীতে খাবারের অভাবে খুব ক্ষুধার্ত থাকে নেকড়ে অথবা উল্ফ। এসময় আকাশের দিকে মুখ তুলে নেকড়েরা চিৎকার করে থাকে। এই কারণে জানুয়ারি মাসে যে সেটিকে 'উল্ফ মুন' বলা হয়ে থাকে।
আর এই চাঁদের রঙ লাল হবার কারণে ব্লাড শব্দটি যুক্ত হয়েছে এর নামকরণে। সব মিলিয়ে সুপার ব্লাড উল্ফ মুন।
এই বিশেষ চন্দ্রগ্রহণটি ১ ঘন্টা স্থায়ী হবে। ২০২৯ সালের আগে এমন 'সুপার ব্লাড উল্ফ মুন' আর দেখা যাবে না।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ