ভারত শ্রীলঙ্কা ফাইনালে খেলবে- এটাই ছিল শ্রীলঙ্কানদের হিসেব। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার কাছে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। সেই তারা শ্রীলঙ্কাকে হটিয়ে ফাইনালে খেলবে, বিশ্বাসই করতে পারছে না শ্রীলঙ্কানরা। ভারত- শ্রীলঙ্কা ফাইনাল- এটা ধরে নিয়ে অনেকেই টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই টিকিট এখন মূল্যহীন। এই ম্যাচ নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ নেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট প্রেমীদের। টিকিট কিনলেও তাদের অনেকেই মাঠে যাবেন বলে মনে হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কানদের সঙ্গে কথা বলে এটাই জানা গেছে।
তবে মাঠে না গেলেও আজকের ফাইনালে তারা মনে মনে ভারতকে সমর্থন করবেন। এতদিন বাংলাদেশের প্রতি অবশ্য সফট কর্নার ছিল, কিন্তু পরশু রাতের ঘটনায় তারা ক্ষেপে আছেন বাংলাদেশ দলের ওপর। যারা টিকিট কিনেছেন তাদের মধ্যে যারা মাঠে যাবেন, তারাও আজ গলা ফাটাবেন ভারতের জন্য! পরিস্থিতি এমন যে, ফাইনালে বাংলাদেশ হারলে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।
শিরোপা লড়াইয়ের এ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে মাঠের আম্পায়ারিংও! ভারত শ্রীলঙ্কানদের আম্পায়ারিং কখনও মান সম্পন্ন ছিল না। শ্রীলঙ্কানদেন চেয়ে এক্ষেত্রে অবশ্য ভারতীয় আম্পায়ারিং আরো নিচে। যে কারণে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই দুই দেশের আম্পায়ারদের খুব একটা দেখা যায় না।
নিদাহাস ট্রফিতে শুধুই শ্রীলঙ্কান আম্পায়াররা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে। খুবই বাজে সিদ্ধান্ত এটা। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শুধু স্বাগতিক দেশের আম্পায়াররা থাকবেন কেন? এখন তো ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিরপক্ষে আম্পায়ারের ব্যবস্থা করা হয়। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এটা কেন করলো এবং অন্য দুই দল কেন মেনে নিল!
মেনে নেয়া যে ভুল হয়েছে সেটা বুঝতে পারছে বাংলাদেশ। পরশু রাতে যদি কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে থাকে সেটা বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণেই। আর এ দায় দায়িত্ব শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের। কারণ বাজে ব্যবস্থাপনাটা তাদেরই। ওই ম্যাচে হাস্যকর আম্পায়ারিং হয়েছে। নো বলের সঙ্কেত দিয়েও আবার তা রহস্যজনক কারণে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমন দুষ্ট ও দৃষ্টিকটু আম্পায়ারিং চলে না। চলতে পারে শ্রীলঙ্কান ঘরোয় ক্রিকেটে!
ভারত যেখানে প্রতিপক্ষ সেখানে অন্য দলের কিছুটা চিন্তা থাকে আম্পায়ারিং নিয়ে। বিশেষ করে তুলনামুলক ছোট দলগুলোকে অনেক সময় বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়। কারণ ভারতের বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দুবার নয়, আম্পায়াররা সাতবার চিন্তা করেন।
আজকের ফাইনালে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই বাজে আম্পায়ারিং। গত ম্যাচে যেটা শিকার হতে হয়েছে সাকিবদের। রিভিউ হাতে গোনা দুই একটা। কিন্তু আম্পায়ারের একটা দুইটা বাজে সিদ্ধান্তই ম্যাচের ফল পাল্টে দিতে পারে। এখানেই যতো চিন্তা বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ যেখানে ভারত, এমনিতেই তো আম্পায়ারিং বিপক্ষে যাওয়ার কথা, এমনকি বাংলাদেশের আম্পায়াররা হলেও! শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কতটা নিরপেক্ষ থাকতে পারেন, দেখা যাক।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ