ঢাকঢোল পিটিয়ে আবির্ভাব না হলেও পরিশ্রম আর ক্রিকেটীয় মেধা দিয়ে নিজের জাতটা আগেই চিনিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের বিপদে সব সময়ই ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন তিনি। ব্যাট হাতে উইকেটে যেমন ঢাল হয়ে দাঁড়ান, তেমনি অফ ব্রেকে ঘায়েল করেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। মাঝে দীর্ঘদিন ছন্দে ছিলেন না ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। বিশেষ করে সাদা পোশাকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ফলাফল বাংলাদেশের শততম টেস্টে বাদ পড়েন তিনি।
পরবর্তীতে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও ডাক পাননি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবারও স্কোয়াডে জায়গা করে নেন মাহমুদউল্লাহ। প্রস্তুতি ম্যাচে আহামরি কোনও পারফরম্যান্স না থাকলেও সুযোগ পান প্রথম টেস্টের একাদশে। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে জায়গা পেয়েই আরও একবার আলো ছড়ালেন ৩১ বছর বয়সী নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পচেফস্ট্রুম টেস্টে দলের ক্রান্তিলগ্নে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪৯৬ রানের জবাবে তিন উইকেটে ১২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের জুটির দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪১ রানে তামিম ফিরলে ভাঙ্গে তাদের ৫৫ রানের জুটি। এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুমিনুল। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ সেঞ্চুরি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
ব্যক্তিগত ৭৭ রানে মুমিনুল ফিরে গেলে আবারও ছন্দপতন ঘটে। এরপর দলের হাল নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ধৈর্য ধরে উইকেটে টিকে থেকে নতুন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা বাড়িয়ে চলেছেন তিনি। ইনিংসের ৭৮তম ওভারের চতুর্থ বলে কাগিসো রাবাদাকে সীমানা ছাড়া করে ১০৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। পরের বলেও রাবাদাকে সীমানা ছাড়া করেন মাহমুদউল্লাহ।
১০৯ বলে ৫৬ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। চার মেরেছেন ১১টি। স্ট্রাইক রেট ৫১.৩৭। ধৈর্য সহকারে টেস্ট মেজাজেই খেলছেন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাকে যোগ সঙ্গ দিচ্ছেন সাব্বির। এখন পর্যন্ত এই জুটির সংগ্রহ ৪৮ রান। ৩১ বলে ১৮ রানে ব্যাট করছেন তিনি। ৭৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে পাঁচ উইকেটে ২৭৫ রান। এখনও ২২১ রানে পিছিয়ে মুশফিকুর রহিমের দল।-সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ