প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। কোথায় থামতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ৭০০ রানও করতে পারে। কিংবা এক হাজার রানও হতে পারে তাদের।
না, এত বড় স্কোরের দিকে হাঁটেনি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের বোলারদের ওপর দারুণ আস্থা প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসের। এ কারণে ৫০০ রানের আগেই ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন তিনি। ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯৬ রান করার পরই বাংলাদেশকে ব্যাট করার সুযোগ করে দিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। সবাই অবাক হয়েছিল তার সিদ্ধান্ত দেখে। কেন এই ফ্ল্যাট এবং শুকনো উইকেটে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ? কোনো হেতুই খুঁজে পেলেন না কেউ। সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণ করে দিলেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার।
ডিন এলগার আর এইডেন মার্করাম মিলে গড়েন ১৯৬ রানের জুটি। ৯৭ রানে আউট হয়ে যান অভিষিক্ত মার্করাম। ৩ রানের জন্য অভিষেকে সেঞ্চুরি হলো না তার। এরপর ২১৫ রানের জুটি গড়েন এলগার আর হাশিম আমলা। ১৩৭ রান করে শফিউল ইসলামের বলে আউট হন আমলা। ডিন এলগার এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে।
কিন্তু ১৯৯ রানে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে আউট হয়ে যান তিনি। মাত্র ১টি রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা পেলেন না তিনি। এরপর উইকেটে নেমে টেম্বা ভাবুমার সঙ্গে জুটি বাধেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। তবে, তার মনে যেহেতু টেস্ট জয়ের চিন্তা, এ কারণে ইনিংস খুব বেশি লম্বা না করে ৪৯৬ রানে ঘোষণা করে দিলেন প্লেসিস। ৩১ রানে টেম্বা এবং ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন