বরিশাল: তাকে যতোই দেখি মুগ্ধ হই। আনন্দে ভরে যায় মনটা। কখন জানি মনের গভীরে তার জন্য ভালোবাসাও দানা বাঁধে। এক সময় সেও আমার ডাকে সাড়া দেয়। তারপর ভালোবাসার সাগরে শুধুই দু’জনের হারিয়ে যাওয়া। বেশ ভালোই চলছিল রামকৃষ্ণ রায় ও স্মৃতি ঘরামীর ভালোবাসার গল্প। কিন্তু আচমকা একটা ঝড় স্মৃতির সব স্বপ্ন তছনছ করে দিল।
বেশ কয়েকদিন থেকে ভালোবাসার মানুষটার জন্য স্মৃতি মন ছটফট করছিল। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো আর তাকে দেখা যায় না। বিদ্যার্জনের জন্য তাকে তো শহরে থাকতে হয়। তাই বলে এতো নিষ্ঠুর সে? ভালোবাসা দিবসেও আসবে না? এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ স্মৃতির কানে এলো, সে এসেছে। আর দেরি নয় এক্ষুনি তার সঙ্গে কথা বলতেই হবে। কিন্তু কে জানতো শহরে গিয়ে রামকৃষ্ণ তাকে ভুলে গেছে।
আসলেই তাই। রামকৃষ্ণ তাকে ভুলে গেছে। এমন কথা শুনতেই মুহূর্তেই যেন মনের মাঝে ঝড় বয়ে গেল। চিরচেনা মানুষটি এতোটা অচেনা হয়ে যাবে কোনোভাবেই মানতে পারছিল না সে। যার জন্য এতো অপেক্ষা সে-ই যদি পর হলো কি হবে বেঁচে থেকে।
শনিবার গভীর রাত। সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। কিন্তু ঘুম নেই স্মৃতির চোখে। কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেল চিরকুট লিখতে। ‘প্রিয় রামকৃষ্ণ রায় তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না (!) আমার সর্বসত্ত্বা জুড়ে রয়েছো তুমি। তাই তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে আমি চলে গেলাম নীরবে বহুদূরে...।’
এরপর শুধু চাপা কান্নার শব্দ। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় স্বজনদের। ছুটে এসে দেখেন স্মৃতি বিষপান করেছে। দ্রুত তাকে নেয়া হয় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। শত চেষ্টা করেও আর বাঁচানো গেল না তাকে। নিজের কষ্টগুলো মনের কোনে লুকিয়ে ভালোবাসা দিবসেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেল সে।
প্রিয় পাঠক এটি কোনো রূপকথা বা ভালোবাসা দিবসের জন্য বানোয়াট গল্প নয়। বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের মন্টু ঘরামীর মেয়ে স্মৃতি ঘরামী (১৮) এভাবেই প্রেমিকের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুর আগে প্রিয় মানুষটিকে উদ্দেশ্য করে বেশ কয়েকটি চিরকুটও লিখে গেছেন তিনি। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে।
আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলামেইলকে জানান, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি ঘরামীর সঙ্গে প্রতিবেশী বিজয় রায়ের ছেলে রামকৃষ্ণ রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রামকৃষ্ণ ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন দিন আগে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ বাড়ি আসেন। শনিবার বিকেলে স্মৃতি ঘরামী তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, স্মৃতির হাতে লেখা দুটি চিরকুটের পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্মৃতির পরিবার মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেশ কয়েকদিন থেকে ভালোবাসার মানুষটার জন্য স্মৃতি মন ছটফট করছিল। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তো আর তাকে দেখা যায় না। বিদ্যার্জনের জন্য তাকে তো শহরে থাকতে হয়। তাই বলে এতো নিষ্ঠুর সে? ভালোবাসা দিবসেও আসবে না? এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ স্মৃতির কানে এলো, সে এসেছে। আর দেরি নয় এক্ষুনি তার সঙ্গে কথা বলতেই হবে। কিন্তু কে জানতো শহরে গিয়ে রামকৃষ্ণ তাকে ভুলে গেছে।
আসলেই তাই। রামকৃষ্ণ তাকে ভুলে গেছে। এমন কথা শুনতেই মুহূর্তেই যেন মনের মাঝে ঝড় বয়ে গেল। চিরচেনা মানুষটি এতোটা অচেনা হয়ে যাবে কোনোভাবেই মানতে পারছিল না সে। যার জন্য এতো অপেক্ষা সে-ই যদি পর হলো কি হবে বেঁচে থেকে।
শনিবার গভীর রাত। সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। কিন্তু ঘুম নেই স্মৃতির চোখে। কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেল চিরকুট লিখতে। ‘প্রিয় রামকৃষ্ণ রায় তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না (!) আমার সর্বসত্ত্বা জুড়ে রয়েছো তুমি। তাই তোমাকে মুক্ত করে দিয়ে আমি চলে গেলাম নীরবে বহুদূরে...।’
এরপর শুধু চাপা কান্নার শব্দ। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় স্বজনদের। ছুটে এসে দেখেন স্মৃতি বিষপান করেছে। দ্রুত তাকে নেয়া হয় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। শত চেষ্টা করেও আর বাঁচানো গেল না তাকে। নিজের কষ্টগুলো মনের কোনে লুকিয়ে ভালোবাসা দিবসেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেল সে।
প্রিয় পাঠক এটি কোনো রূপকথা বা ভালোবাসা দিবসের জন্য বানোয়াট গল্প নয়। বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের মন্টু ঘরামীর মেয়ে স্মৃতি ঘরামী (১৮) এভাবেই প্রেমিকের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত্যুর আগে প্রিয় মানুষটিকে উদ্দেশ্য করে বেশ কয়েকটি চিরকুটও লিখে গেছেন তিনি। আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে।
আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলামেইলকে জানান, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি ঘরামীর সঙ্গে প্রতিবেশী বিজয় রায়ের ছেলে রামকৃষ্ণ রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রামকৃষ্ণ ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন দিন আগে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রামকৃষ্ণ বাড়ি আসেন। শনিবার বিকেলে স্মৃতি ঘরামী তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, স্মৃতির হাতে লেখা দুটি চিরকুটের পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্মৃতির পরিবার মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।