বিনোদন ডেস্ক : মাথা কাটা দেহ মিলল এক অভিনেত্রীর। ভারতের চেন্নাইয়ের রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলার জায়গায় মাথা কাটা অবস্থায় তার দেহটি ফেলে রাখা ছিল। তামিলনাড়ু পুলিশ জানাচ্ছে, ওই তামিল অভিনেত্রীর নাম শশিরেখা। এক মাস আগেই ওই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। আজ সেটিকে শনাক্ত করা হল।
পুলিশ জানাচ্ছে, ৩৬ বছর বয়সী জনপ্রিয় তামিল অভিনেত্রী শশিরেখার খুনে তার স্বামী রমেশ ও তার বান্ধবী লওকিয়া প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। লওকিয়া নিজেও এক জন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি রমেশের একটি ব্যবসার অংশীদারও। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র ও প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশি জেরায় শশিরেখাকে খুন ও তার দু’টুকরো দেহকে দু’জায়গায় ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেছেন রমেশ ও লওকিয়া।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন আগে রমেশের একটি ব্যবসা একেবারেই লাটে উঠে যায়। তার পরেই রমেশের বাব, মা ও প্রথম স্ত্রী আত্মঘাতী হন। এর পরেই ভাগ্য ফেরাতে রমেশ অভিনয় করতে শুরু করেন। যারা অভিনয় করতে চান সিনেমায় বা টেলিভিশন সিরিয়ালে, টাকার বিনিময়ে তাদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসাও শুরু করেন রমেশ। ওই সময়েই শশিরেখার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শশিরেখার একটি শিশু পুত্র ছিল।
ইচ্ছুক যুবক-যুবতীদের অভিনয় করার সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসায় চার বছর আগে থেকেই রমেশ ব্যবহার করতে শুরু করেন তার বান্ধবী লওকিয়াকে। রমেশের ছবির জন্য প্রচুর টাকার বিনিময়ে অভিনেত্রী জোগাড় করার ব্যবসায় নেমে পড়েন লওকিয়া। এই ভাবেই লওকিয়ার প্রেমে পড়ে যান রমেশ।
তার দুর্ব্যবহার শুরু হয়ে যায় শশিরেখার সঙ্গে। এর পর লওকিয়ার সঙ্গে থাকতেও শুরু করে দেন রমেশ। খুনের ঘটনার কয়েক দিন আগে স্বামী রমেশের বিরুদ্ধে তার শিশু পুত্রকে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন শশিরেখা। তবে তদন্তে তার সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।