সারা দেশে ভারী বৃষ্টি, বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

সারা দেশে ভারী বৃষ্টি, বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা

Share This

সারাদেশে কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি জেলায় পানি বেড়েছে। এরই মধ্যে কয়েক জেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।

এদিকে পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও হাটহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি লাখ লাখ মানুষ। সাঙ্গু ও হালদা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে নদী পাড়ের স্থাপনা। সড়কের উপর পানি বাড়ায় আজও বন্ধ আছে অধিকাংশ যানবাহন চলাচল। এদিকে পাহাড় ধ্বসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং অবিরাম বৃষ্টিতে রংপুরে তিস্তার পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পান্দিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় গবাদি পশু নিয়ে তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকট সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন বন্যা দুর্গতের সহায়তা দেয়ার কথা জানালেও দুর্গতরা বলছেন, তারা এখনো কিছুই পাননি।

এদিকে টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদীর পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দু’তিন দিনের মধ্যে বাড়ি-ঘর ছাড়তে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর এবং ফুলছড়ির নদী তীরবর্তী এলাকায় নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে।

তাছাড়া লালমনিরহাটে প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৭ হাজার পরিবার।

এদিকে সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার লাখো মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার এবং ছাতকএ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। জেলার বেশিরভাগ উপজেলার রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ-মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়েছে।

এদিকে কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ