আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ

Share This

মিয়ানমার থেকে আর কোনো শরণার্থী নিতে পারবে না বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সামরিক বাহিনীর সহিংসতার মুখে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ১৮ মাস পর এ সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ।

ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র। তবে মিয়ানমার প্রথম থেকেই এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘকে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, ‌‌আমি দুঃখের সঙ্গে পরিষদকে জানাচ্ছি যে মিয়ানমার থেকে আরো মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার অবস্থানে আর নেই বাংলাদেশ। এসময় তিনি মিয়ানমারকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও বাধা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সহায়ক পরিস্থিতি নিশ্চিত না করায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি। 

মিয়ানমার জানিয়েছিল, এ বছরের জানুয়ারি থেকেই তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা দাবি তুলেছে তাদের নাগরিকত্ব না দিলে তারা বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে না।

নিরাপত্তা পরিষদের পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের উদ্যোগের অভাবের সমালোচনা করেন। নিরাপত্তা পরিষদে বৃটিশ দূত কারেন পিয়ার্স বলেন, এখনো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারায় আমরা গভীরভাবে হতাশ।

এছাড়া অনেকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান যাতে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা রাখাইনে প্রবেশ করতে পারেন। মিয়ানমারে কর্তব্যরত জাতিসংঘের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিন শ্রানার-বারগেনার বলেন, এখনো রাখাইনে জাতিসংঘের প্রবেশাধিকার সীমিত। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে মাত্রার নির্যাতন হয়েছে এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ রয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত হয় যে রোহিঙ্গা নির্যাতন এ শতাব্দীর সব থেকে ভয়াবহ ঘটনাগুলোর একটি।

তবে জাতিসংঘে চীনের সহকারী দূত উ হাইতাও বলেন, এই সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের। তাই তাদেরকেই এই সংকটের সমাধান করতে হবে। রুশ দূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী দূত জোনাথান কোহেন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনোভাবেই পৃথিবীর সব থেকে বড় শরণার্থী শিবিরকে উপেক্ষা করতে পারেন না 

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: