উত্তরের জেলা হিমালয় কন্না পঞ্চগড়। বর্তমানে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে এ জেলায়। গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। টানা ৫ থেকে ৬ দিন ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে বিরাজ করছে।
গত বুধবার তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে ।
সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত সোমবার ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রী ও ৫ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিকে রাত ভর কোয়াশা আর সকাল সকাল সূর্য ওঠার কারণে দিনের ১২টার পর প্রায় ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলায় শীতে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। প্রতিদিন বাড়ছে শিশু রোগ ডাইরিয়া সর্দি, কাশি ও জ্বর। বয়স্কদের বাড়ছে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট। গ্রামীণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙ্গিনায় আগুন তাপগ্রহণ করে তীব্র শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে এলাকার সাধারণ হত দরিদ্র মানুষ।
শ্রমজীবী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ায় জীবিকা নির্বাহে ব্যাঘাত ঘটছে। শীতবস্ত্র ও গরম কাপড় না থাকায় তীব্র শীতে ঘুমাতে পারছে না। ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে মারাত্তক দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে ভারি যানবাহন। ঢাকাগামী নাইটকোস ঘন কুয়াশার কারণে সময় মত গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারছে না। আবার জেলা শহরের মার্কেটগুলোতে গরম কাপড় ও শীত বস্ত্র বেচা-কেনায় হিড়িক পড়েছে। ফুটপাতের দোকানে স্যাকেন হ্যান্ড শীত বস্ত্র বেশ বেচাকেনা জমে উঠেছে। হাড় কাপনো শীতের কারণে লেপ, তোষক, বালিশ বানানো দোকানের শ্রমিক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন-ডাইরিয়াসহ ঠান্ডা জনিত রোগে প্রায় অর্ধশত শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। প্রতিদিন প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে অনেকেই। গভীর রাতে শিশুদের ঠান্ডা না লাগে ও খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
পঞ্চগড়ের ডিসি সাবিনা ইয়াসমিন বলেন- এ পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আর ও শীত বস্ত্র আবেদনের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ে ফ্যাক্র বার্তা পাঠানো হয়েছে
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ