আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য মেধাবী ও প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, সরকারের মন্ত্রীবর্গ শহীদ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্য হিসেবেই এ দেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একদিন পর রায়েরবাজারের ইটখোলা, মিরপুর বধ্যভূমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বুদ্ধিজীবীদের হাত- পা বাধা ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন ড. জি সি দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, ড. গোলাম মোর্তজা, ড. মোহাম্মদ শফি, শহীদুল্লাহ কায়সার, সিরাজউদ্দীন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহমেদ লাডু ভাই, খন্দকার আবু তালেব, আনম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, নাজমুল হক, আলতাফ মাহমুদ, নূতন চন্দ্র সিংহ, আরপি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহি, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দিন, হাবিবুর রহমান, মেহেরুন্নেসা, সেলিনা পারভীন, সায়ীদুল হাসানসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশের কাছে নিশ্চিত পরাজয়ের ঠিক দুদিন আগে এমন পৈচাশিক হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদাররা। বাংলাদেশের বিজয়ের পর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ বিনম্র শ্রদ্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে আসছে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ