একটু সুন্দরী হতে বিভিন্ন কোম্পানির অনেক নামিদামি ক্রিম মুখে মাখতেই পারেন, তাতে কোন ক্ষতি নেই ! কিন্তু আপনার জেনে রাখা ভালো যে এই সব ক্রিম আপনার ত্বককে সাময়িক ভাবে উজ্জ্বল করলেও দীর্ঘ মেয়াদি ফর্সা ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না এবং তা কিন্তু সম্ভবও নয়। তাহলে কি করবেন তাইতো…!
এক্ষেত্রে মাত্র ২/৩ মিনিট সময় খরচ করে একটু পড়ে নিন আমাদের এই টিপসগুলো । তাহলেই দেখবেন সমস্যা সমাধান! নিশ্চিয় বুঝতে পারছেন না এই এগুলো পড়ে কি ফর্সা হয়ে ওঠা সম্ভব, তাই তো ! আসলে এই এখানে এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে লিখা হয়েছে যে, তা কাজে লাগাতে পারলে মাত্র ১০ মিনিটেই আপনার ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সেই সাথে আপনার ত্বকেরও উন্নতি ঘটবে কারণ সঠিক পথ অবলম্বন করলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতেও দেখবেন সময় লাগবে না। তাই ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে চান, তাহলে তা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে…
কলা:
হাজারো গবেষণায় পাওয়া গেছে এই ফলটিতে উপস্থিত যে ভিটামিন এ, বি, ই এবং পটাশিয়াম রয়েছে তা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে এমন ক্রিয়া ঘটায় যা ত্বককে ফর্সা করে তুলতে বেশি সময় লাগে না । সেই সাথে ত্বকের গভীরে যে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে তা দূর করতে সাহায্য করে । এজন্য পরিমাণ মতো কলা নিন এবং প্রথমে তা ভালভাবে চোটকে নিন । তারপর পেস্টের মত হয়ে গেলে সেটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে নিন এবং মাত্র ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেই ধুয়ে ফেলুন । এইভাবে নিয়মিত করলেই দেখবেন ত্বকের ফল পেতে শুরু করেছেন ।
লেবু:
১ চামচ লেবুর রসের সাথে ২ চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানান । তারপর সেটা মুখে লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করুন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । সময় হয়ে গেলে মুখটা ধুয়ে ফেলুন ব্যাস হয়ে গেল । নিয়মিত এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগালে ত্বকের ভিতরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে, যা আপনার ত্বকের ভেতরে জমতে থাকা টক্সিকগুলো বের করে দেবে । ফলে ত্বক হয়ে উঠবে ফর্সা এবং উজ্জল । মুলত, ব্রণ, অ্যাকনে এবং আরও নানাবিধ ত্বকের সমস্যা দূর করতে এই ফেসপ্যাকটি কিন্তু দারুন কাজে আসবে ।
কাঁচা দুধ:
ত্বকের ভিতরে যখন পুষ্টির অভাব দূর হয়, সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাও ফিরে আসে তখন ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে । এই কারণেই নিয়মিত কাঁচা দুধের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করা উচিৎ । সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে কাঁচা দুধ মুখে লাগিয়ে কিছু সময় ধরে ম্যাসাজ করে নিন । প্রতিদিন ১৫ মিনিট এভাবে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারলে আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ।
মধু:
প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে । আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভিতরে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদানগুলো একদিকে যেমন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি ত্বকের দাগও মুছে ফেলতে পারে । ফলে স্কিন টোনের পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগে না । যদি দ্রুতই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চান, তাহলে আধা চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন । তারপর সেই পেস্টটি মুখে এবং গলায় ভাল করে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন । সময় হয়ে গেলে মুখ ও গলাটা হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন ।
দই:
দই খেতে কেইবা না ভালোবাসে বলুন । শুধু খাবার নয় ত্বকের পরিচর্যায়ও দই ব্যবহার হয় । এতে থাকা আলফা হাইড্রক্সসিয়াল অ্যাসিড এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষের স্থরকে সড়াতে সাহায্য করে । সেই সাথে ত্বকের ভিতরের পুষ্টির ঘাটতিও দূর করে এবং ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলোও বের করে দেয় । ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর । এজন্য এক বাটি দইয়ের সাথে সমপরিমান ওটস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন । তারপর তা মুখে লাগিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন । সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
পেঁপে:
পেঁপে রুগিদের আদর্শ ফল হলেও দ্রুত ত্বককে ফর্সা বানাতে এর ভুমিকা অপরিসীম । এজন্য পেঁপে দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মুখে লাগাতে পারেন । সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে তার সাথে সমপরিমান মধু মিশিয়ে নিন । তারপর তা মুখে লাগিয়ে কমপক্ষে ২০ মিনিট ভালভাবে ম্যাসাজ করুন । এইভাবে নিয়মিত করলেই বুঝবেন ত্বকের পরিবর্তন ।
টমাটো:
ত্বকের যত্নে টমেটোর মত সব্জিও বা কেন পিছিয়ে থাকবে বলুন ? টমেটোতে থাকা লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ত্বকের গভীরে গিয়ে ক্ষত সারায়, ঠিক তেমনি পুষ্টির অভাবও দূর করে । ফলে ত্বক তো ফর্সা হবেই, সেই সাথে একাধিক স্কিন সমস্যাও দূর হয়ে যায় । সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ টমাটোর রস বানিয়ে তার সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন এবং সেটি মুখে লাগান । টানা কয়েক মাস এভাবে ব্যবহার করুন দেখবেন স্কিন টোনের উন্নতি ম্যাজিকের মত ঘটতে শুরু করেছে ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ