ডেস্ক নিউজ: নভেম্বরের শুরুতেই পর্দা উঠছে বিপিএলের। তবে সবকিছু শেষ হয়ে গেলেও বিপিএলে দল পাননি দেশিয় অনেক তারকারাই। ঘরোয়া লীগে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার এমন অনেক আছেন যারা দল পাননি। নাইম ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিকি, সোহরাওয়ার্দী শুভ, শামসুর রহমান, এনামুল হক জুনিয়র, মার্শাল আইয়ুবের মত প্লেয়ার বিপিএলে থাকবে দর্শক হয়ে। আর এজন্য অনেকেই দায়ী করেছেন একাদশে ৫জন বিদেশী খেলানোর কারনকে।
বিদেশিদের নিয়ে শক্ত দল গঠন করার কারনে দেশিয় ক্রিকেটারদের দিকে তাকানোর কারন ছিলনা ফ্রাঞ্চাইজি গুলোর। তার প্রমান, বিপিএলে সাত ফ্রাঞ্চাইজির কেউই পূর্ন করেনি দেশিয় কোটা। প্রতিটা দলে ১৩জন দেশিয় ক্রিকেটার নেওয়ার কথা থাকলেও ১৩ জনের কোটা পূর্ন করেনি কেউই। সর্বোচ্চ ১২ জন নিয়েছে রংপুর ও খুলনা। বাকি পাঁচ ফ্রাঞ্চাইজি তো দলে নিয়েছে ১১জন করে। যদি দেশিয় কোটাও পূরন করত তাহলে অন্তত আরো ১২ জন দেশিয় ক্রিকেটার সুযোগ পেত বিপিএলে।
বিপিএল আয়োজনের মুল মন্ত্র হল দেশিয় ক্রিকেটের উন্নতি, ক্রিকেটারদের উন্নতি। নতুন নতুন ক্রিকেট প্রতিভা তুলে আনা। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই অবস্থানটা ধরে রাখতে হবে বাংলাদেশকে। সেজন্য ভবিষ্যত ক্রিকেটের নায়কদের তৈরি করার জন্যই বিপিএলের মত ট্রুনামেন্ট। কিন্তু নামে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য হলেও কাজে তার প্রতিফলন হচ্ছে খুবুই কম।
একাদশে ৬ জন দেশিয় ক্রিকেটার আর পাঁচ জন বিদেশি ক্রিকেটার থাকবে। তার মানে প্রায় অর্ধেক চলে যাবে বিদেশিদের হাতেই। তাহলে সেখানে দেশিয় ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত সুযোগ পেল কোথায়? যেহেতু দলে পাঁচজন বিদেশি খেলানোর নিয়ম আছে সেহেতু কোন দলই চার জন বিদেশি খেলাবে না।
অন্যদিকে পাঁচ জন বিদেশি খেলানোর পাশাপাশি দলগুলো পুরন করেনি দেশিয় কোটায় ১৩ জন প্লেয়ার কেনার ব্যাপারটিও। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়, বিপিএলের মুল উদ্দেশ্য কি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি নাকি শুধুই একটি ট্রুনামেন্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন