আজ কি সালাহুদ্দিন আইয়ুবী,বখতিয়ার খিলজী,শাহ জালাল,তারিক বিন যিয়াদ,হযরত ওমর (রাঃ) কিংবা শহীদ হাসানুল বান্নার মত কেউ নেই যে আরাকানের মুসলমানদের রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করবে??? মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বৌদ্ধ দের অমানুষিক নির্যাতন, নারীর সম্ভ্রম হানী , করে এইভাবে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে হায়না জানোয়ার গুলো,
বার্মার মুসলমানদের উপর আজ এই রকম নির্যাতন চলছে, মুসলমানরা চুপ কেন ???
হে মুসলমানরা, শুনুন !! তোমাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা’আলা কি বলেছেন !
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
(সুরা নিছা আয়াত ৭৫)
যখন সামগ্র পৃথিবীতে মুসলমানদের উপর নির্যতনের দৃশ্য গুলো দেখি চোখের পানি ধরে রাখা যায় না!!!
মনে অজান্তেই চোখে নামে অশ্রুর জোয়ার!!! আজ পৃথিবীর প্রতিটি ইঞ্ঝি মাটিতে মুসলমানরা নির্যাতিত!!!
তারা চিৎকার করে ফরিয়াদ করছে!!!
“তোমাদের কী হলো যে, তোমরা ঐসব অসহায় পুরুষ, নারী, ও শিশুদের খাতিরে আল্লাহর পথে লড়াই করছ না, যাদেরকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে এবং যারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে জালিমের এ জনপদ থেকে উদ্ধার করো! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারীর ব্যবস্থা কর”!!!(সুরা নিসা- ৭৫)
কিন্তু তাদের সে ফরিয়াদ আমাদের মত ঘুমন্ত মানুষের কানে পৌছে না!!! কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ আমাদেরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবে আমরা কি উত্তর দিব!!!
আমাদের পাশেই আরাকান,,, তাদের উপর যে অত্যচার করা হয়,, তা কোন চোখের সয্য হওয়ার কথা না!!!
আমাদের মা, বাবা, ভাই, বোন রা,,, ছোট ছোট মাসুম শিশুরা অবর্ননীয় অত্যাচার ভোগ করতেছে!!! ফিলিস্তিনের মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য শহীদ হাসানুল বান্না বীর মুজাহীদদের প্রেরণ করে ছিলেন বলে তাকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে!!!
আজ কি সালাহুদ্দিন আইয়ুবী,বখতিয়ার খিলজী,শাহ জালাল,তারিক বিন যিয়াদ,হযরত ওমর (রাঃ) কিংবা শহীদ হাসানুল বান্নার মত কেউ নেই যে আরাকানের মুসলমানদের রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করবে???
মায়ানমারে মুসলিম যুবতী মেয়েদের গনধর্ষনের পর এভাবেই জবাই করে হত্যা করা হয়, হত্যার পরে তাদের পেঠের মাঝখানে চিরে ফেলে উল্লাস প্রকাশ করে,, পৃথিবীর নিকৃষ্ট জাতি বুদ্ধরা,,,
মায়ানমারে আমাদের এই অসহায় মুসলমান ভাই বোনদের উপর নজিরবিহীন নির্যাতন,ও হত্যার প্রতিবাদ হিসাবে,
স্বজাতি মুসলিম ভাইদের উপর বদ্ধদের এই নির্মমতা দেখে দুই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।
আমেরিকা মুসলিম দেশগুলোতে পারমাণবিক বোমার গন্ধ খোঁজে।ঘুমের মধ্যেও জঙ্গি দেখতে পায়। আর মায়ানমারে চলছে পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর কিছুর বিস্ফারণ। বৌদ্ধ জঙ্গিদের তান্ডব। আমেরিকা কি এখন মায়ানমারে সামরিক অভিযান চালাতে পারেনা??
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, দেশটি সফলভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটাতে চাইলে এটা করতেই হবে।
ওবামা বলেন, মানব পাচারের শিকার কিংবা সাগরে ভাসমান আরাকানদের (রোহিঙ্গা) পুনর্বাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হোয়াইট হাউজে এশিয়ার তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে ওবামা এসব কথা বলেন।
তিনি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করায় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেন এবং বলেন যুক্তরাষ্ট্র কিছু রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে।
চীনের উত্থানের মুখে এশিয়ায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ওবামা বিশেষ মনযোগ দিয়েছেন। এজন্য গত তিন বছরে তিনি দুবার দেশটি সফর করেছেন।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে কী প্রয়োজন প্রশ্ন করা হলে ওবামা বলেন, ‘আমি মনে করি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের চেহারা (বর্ণ) কিংবা ধর্মবিশ্বাসের জন্য কোনো বৈষম্য না করা। কিন্তু আরাকারদের বিরুদ্ধে বৈষম্য হচ্ছে। এবং এ কারণে তারা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।’
নিজে আরাকান (রোহিঙ্গা) হলে আপনি কি করতেন প্রশ্ন করা হলে ওবামা বলেন, ‘আমি আমার পিতৃভূমিতেই থাকতে চাইতাম। তবে আমি নিশ্চিত করতে চাইতাম যে আমার সরকার যেন আমাকে রক্ষা করে এবং লোকজন যেন আমার প্রতি ন্যায়বিচার করে।’
মিয়ানমারে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বসবাস করলেও রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে দাবি করে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার।
দেশটির সরকার ও সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে গত তিন বছরে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছে। মিয়ানমারে ১১ লাখ ১৩ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস।
জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
আন্দামান সাগর থেকে উদ্ধার করা ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে বাংলাদেশের জলসীমায় নয়, সমূদ্রে একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী।
এর আগে আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রী ইয়ে টুটকে উদ্ধৃত করে এক খবরে জানিয়েছিল, মিয়ানমারের নৌবাহিনী এদের বাংলাদেশের জলসীমায় নিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রী ইয়ে টুট এক এই বক্তব্য সংশোধন করে বলছেন, বাংলাদেশে নয়, তাদের সমূদ্রের একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এদের ঠিক কোথায় নেয়া হচ্ছে, নিরাপত্তা এবর অজুহাতে সেটি জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
গত শুক্রবার আন্দামান সাগরে এক মাছ ধরা ট্রলার থেকে এই অভিবাসীদের উদ্ধার করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।
উদ্ধারকৃতদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে মনে করা হচ্ছ। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকৃতি দেয় না।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মানব পাচার ক্যাম্পে থাকা মুসলিম রোহিঙ্গা নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এতে অন্তত দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। যারা তাদের ক্যাম্পে রাখছে তারাই ধর্ষণ করছে।
মালয়েশিয়ার সরকার পরিচালিত বার্তা সংস্থা বারনামা এ খবর প্রকাশ করে। এতে থাইল্যান্ডের পাদাং বেসার ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরে আসা নুর খাইদা আবদুল শুকুর নামের এক নারীর উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলা হয়, রাতে তরুণীদের ক্যাম্প থেকে নিয়ে যাওয়া হতো।
তিনি জানান, প্রতিরাতে গার্ডরা দুই কিংবা তিনজন রোহিঙ্গা সুন্দরী নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যেতো। সেখানে তাদের গণধর্ষণ করা হতো। এতে করে দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
সংবাদ সংস্থাটি তার স্বামী নূরুল আমিন নবী হোসেইনের উদ্ধৃতিও তুলে ধরে। মালয়েশিয়া সীমান্তের বন্দীশিবিরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে জানান নবী হোসেইন।
উল্লেখ্য, গত মাসে প্রথমে থাইল্যান্ড পরে মালয়েশিয়ায় বেশকিছু মানব পাচার ক্যাম্প এবং গণকবরের সন্ধান মেলে। যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়াকে স্তম্ভিত করে দেয়।
মালয়েশিয়ার আলর সেতারাম শহর থেকে নূর খাইদা আরো জানান, প্রতি রাতেই গার্ডরা কাছাকাছি কোথাও নারীদের নিয়ে যেতো। আমরা নারীদের আর্তচিৎকার ও কান্নার আওয়াজ পেতাম। কারণ আমাদের ক্যাম্পের কাছাকাছিই কোথাও তাদের ধর্ষণ করা হতো।
এশিয়ার অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে সতেরটি দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন। এই বৈঠকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার ভল্কার টার্ক মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দুরাবস্থা সম্পর্কে অভিযোগ তুলে বলেন মিয়ানমার সরকারকে তার দেশের সব জনগণের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকার করে না।
কিন্তু জাতিসংঘের এই অভিযোগের জবাবে মিয়ানমারের প্রতিনিধি তিন্ লিন্ বলেন এর দায়িত্ব শুধু মিয়ানমারের একার নয়- ”শুধু মিয়ানমারের দিকে আঙুল তুললে চলবে না- এখানে মূল সমস্যা মানব পাচারের।” ঝুঁকি নিয়ে অভিবাসনের আশায় যেসব মানুষ আন্দামান সাগর পাড়ি দিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি এবং বাকিরা বাংলাদেশি।বৈঠক থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জনাথান হেড জানান, থাই কর্তৃপক্ষ মানবপাচার চক্রগুলোর কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর আন্দামান সাগরে ভাসমান হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর সঙ্কটের চিত্র প্রকাশ পায় এবং এই পটভূমিতে দুই সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড এই সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকে। বৈঠকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল তানাসাক্ পাতিমাপ্রাগর্ন বলেন মিয়ানমারে নির্যাতন এড়াতে রোহিঙ্গারা এবং দারিদ্র থেকে পালাতে মরীয়া বাংলাদেশিরা যে বিপদসঙ্কুল পথে অভিবাসনের দিকে ঝুঁকছে তার মূল কারণগুলো সমাধানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। জেনারেল তানাসাক বলেছেন এই সঙ্কট কোনো একটা দেশের পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয় এবং মানব পাচার বন্ধ করতে একটা সম্বন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আমরা কোথায় বিচার দেব ? কার কাছে বলব ?? নাকি আকাশের পানে তাকিয়ে চিৎকার করে বলব, ইয়া আল্লাহ্ !! ইয়া রব !! আমাদের রক্ষা কর, আমাদের বাচাঁও, আমরা আর সহ্য করতে পারছিনা।।
বিশ্বের সকল ক্ষমতাধর নায়ক আর মহানায়কেরা আজ চোখে কালো কাপড় বেধেঁ, নাস্তিক মুরতাদ আর কাফেরের বন্ধুত্বে পরিনত হয়েছে। আর বিশ্বের বাঘা বাঘা মুসলমান নেতারা তাদের ক্ষমতার মসনদ টিকিঁয়ে রাখার স্বার্থে কাফেরদের পা চাটা গোলামে পরিনত হয়েছে।
হে পরওয়ার দেগার !!
আর কত মুসলমান নর নারী আর নিস্পাপ শিশুর জীবন নিঃশেষ হলে তোমার সাহায্য আসবে। ওদের আর্তচিৎকার আর আহাজারিতে পৃথিবীর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত। ওদের এই করুন আহাজারী আর আর্তনাত বিশ্বের মুসলমান নেতাদের কান পর্যন্ত পৌছায় না।
আমার নিস্পাপ বোনের দেহটাকে কি ভাবে ঐ নরপশুর দল ঠুকরে ঠুকরে বিষাক্ত সাপের মত ছোবল দিয়ে ছিন্ন বিন্ন করে নির্যাতন করে নষ্ট করে দিচ্ছে ।শুধু তাই নয় অমানুবিক নির্যাতন আর ধর্ষন করে, ধারালো অস্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে উল্লাস করছে। কিভাবে জীবন্ত বাচ্চাদের আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানিয়ে পৈচাশিক উল্মদনায় মগ্ন রয়েছে । জীবন্ত পুরুষদের উলঙ্গ করে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটেঁ জীবন্ত আগুনো পোড়ানো হচ্ছে।
পিতার সামনে মা মেয়েকে উলঙ্গ করে ধর্ষন করা হচ্ছে স্তন কেটে রক্তের হলি খেলা হচ্ছে। হাজার হাজার মুসলমানদের একাত্রিত করে গনহত্যা করা হচ্ছে।আগুনে জ্বালিয়ে উল্লাস করছে।
হে আল্লাহ আমরা আর সহ্য করতে পারছিনা তুমি ওদের রক্ষা কর। ওরা মুসলমান এটাই ওদের অপরাধ।ওরা নামাজ পড়ে এটাই ওদের অপরাধ। তুমি ছাড়া ওদের কেউ নেই।
হে মুসলমান রাষ্ট্রপ্রধান গন আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন না, তোমরা অবশ্যই ধ্বংষ হবে, কিয়ামতের ময়দানে তোমাদের কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হবে। তোমাদের তৈল দিয়েছে ,শক্তি দিয়েছে, নারী গাড়ি দিয়েছে।
কিন্তু তোমরা শুধু নারী বাড়ি আর মদের নেশায় ডুবে তোমাদের দায়িত্বের প্রতি অবহেলা করেছ। আল্লাহর দরবারে তোমাদের জবাব দিহি করতে হবে।তোমাদের জন্য কঠিন শাস্তির আয়োজন করা হয়েছে।আল্লাহ ই নির্যাতিত মায়ানমার সহ সকল মুসলমাদের রক্ষা করবেন।কিন্তু তোমাদেরকে নয়।
অস্ট্রেলিয়া ৬৫ জন অভিবাসী বোঝাই একটি নৌকাকে তাদের জলসীমা থেকে সাগরে ঠেলে দিয়েছে।
নৌকাটিতে চারজন নারী ও তিনটি শিশু ছিল। প্রবালের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ায় নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া পুলিশের বরাত দিতে মঙ্গলবার গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানায়, অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ জন শ্রীলংকার, ১০ জন বাংলাদেশের এবং একজন মিয়ানমারের নাগরিক। নৌকাটিতে পাঁচজন ক্রুও ছিল।
রট দ্বীপে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫ মে অভিবাসী বোঝাই নৌকাটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা থেকে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথে প্রবালপ্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটির বেশ ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত নৌকাটি অস্ট্রেলিয়ার জলসীমায় পৌঁছালে দেশটির কর্তৃপক্ষ সেটি আটকে দেয়। অভিবাসীরা জানান, অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের খাবার, জ্বালানী ও লাইফজ্যাকেট দিয়ে একটি কাঠের নৌকায় তুলে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় পাঠিয়ে দেয়।
সোমবার একটি মাছধরা নৌকায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায়। বর্তমানে তারা পশ্চিম তিমুরের রট দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করে। ওই নিয়মের আওতায় আশ্রয় প্রার্থীদের নৌকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আশ্রয় প্রার্থনা করে জানানো আবেদন প্রক্রিয়ার সময় তাদের তৃতীয় কোন দেশের কারাগারে রাখা হয়।
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তের বন্দিশিবিরে পাচার বা অপহরণের শিকার হওয়া পাঁচ শতাধিক অভিবাসীকে মেরে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। মানব পাচারকারীদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া একজন অভিবাসী এ কথা বলেছেন। মানব পাচার রোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে থাইল্যান্ডকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। খবর বিবিসি, রয়টার্স, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ফুকেট গেজেটের। বন্দিশিবিরের পাঁচ শতাধিক লোককে মেরে ফেলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন যিনি, সেই অভিবাসী তাঁর নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ওই ঘাঁটিগুলোতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আটক রাখা হতো।
মালয়েশিয়ায় চাকরির লোভ দেখিয়ে ছয় মাস আগে তাঁকেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে থাইল্যান্ডে নেয় পাচারকারীরা। তিনি যে শিবিরে ছিলেন সেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ অভিবাসীকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘মা জমি বিক্রি করে মুক্তিপণ শোধ করায় আমি বেঁচে গেছি।’ থাইল্যান্ডের শংখলা প্রদেশের সাদাও এলাকার গভীর জঙ্গলে গণকবর থেকে সম্প্রতি যে ২৬ জন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের একজনের নাম কাজিম। বেঁচে যাওয়া এক অভিবাসী পুলিশকে জানিয়েছেন, অরনুয়া নামের এক পাচারকারী ও তার সহযোগীরা মিলে কাজিমকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেেলছে। তিনি নিজে সে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে কাজিম কোন দেশের নাগরিক তা উল্লেখ করা হয়নি। থাইল্যান্ড সীমান্তের বন্দিশিবির থেকে ভাগনে কাজিমকে ছাড়াতে ৯৫ হাজার বাথ (থাই মুদ্রা) মুক্তিপণ দিয়েছিলেন কুরামিয়া। তার পরও কাজিমকে জীবিত ফিরে পাননি। মিলেছে তাঁর দেহাবশেষ। কুরামিয়া নিজেও ভাগ্যান্বেষণে একইভাবে দেশ ছেড়েছিলেন। কুরামিয়া বলেন, ‘অরনুয়া নামের এক পাচারকারী যখন আমার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে, তখন তাকে কাজিমের মুক্তিপণ বাবদ ৯৫ হাজার বাথ দিই। ১৫ দিন পর সে আরও ১ লাখ ২০ হাজার বাথ চায়। আর টাকা না থাকায় আমি থাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করি। এরপর কাজিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।’ থাইল্যান্ডের পুলিশ কর্মকর্তা জারুমপর্ন সুরামানি গত রোববার জানান, প্রথম গণকবর থেকে তাঁরা ২০ জনের কঙ্কাল ও ছয়জনের গলিত দেহাবশেষ পেয়েছেন। একই দিন শংখলার গভীর জঙ্গলে আরেকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর শোনা যায়।
গত শুক্র ও শনিবার প্রথম গণকবরটি থেকে যাঁদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার শিবির থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি। দ্বিতীয় গণকবরটিতে ৫০ জনের বেশি লোকের দেহাবশেষ থাকতে পারে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। সেখানে অনুসন্ধান চলছে। পুলিশ জানায়, প্রত্যন্ত শংখলা এলাকায় মানব পাচারকারীদের বড় ঘাঁটি ছিল বলে তাদের ধারণা। সম্ভবত কিছুদিন আগে তারা এলাকাটি ছেড়ে গেছে। নৌকায় করে আসা বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওই বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হতো। পরে স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করা হতো মুক্তিপণ। টাকা দিতে না পারায় অনেকে দীর্ঘ সময় বন্দী থেকে অনাহারে ও রোগে মারা যাচ্ছে। -অনলাইন
সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন