নবীনগরে দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মারা গেছেন - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

নবীনগরে দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মারা গেছেন

Share This
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

গত ১২ এপ্রিল নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটি গ্রামে দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোড়ালীর ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর কাটা পা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে।

এ সময় ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দেয় দাঙ্গায় জড়িত এই নরপশুরা।

পরিবারের লোকজন জানান, তার ডান পা-ও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যান মোবারক। ঘটনার পরপরই তাকে কোপানোর সঙ্গে জড়িত ক’জনের নাম প্রকাশ করেন মোবারক। তারা হচ্ছেন থানাকান্দি হাতবাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন, হাজিরহাটি গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে রুমান, জিল্লুর ছেলে শাহিন ও মালির ছেলে জাবেদ।

বাকীদের তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। তার এই বক্তব্যের মোবাইলে করা ভিডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মোট ১২/১৩ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী মোবারক করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে এসেছিলেন। গ্রামে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। মোবারকের স্ত্রী সাবিয়া জানান- তার সামনেই মোবারককে মাটিতে সোজা করে শুইয়ে ফেলে কোপানো হয়।

এ সময় তিনি অদূরেই থাকা পুলিশের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন সাহায্যের জন্যে। তার স্বামীকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উল্টো ধাওয়া দেয়।

সাবিয়া জানান, ঘটনাস্থলের কাছে ৩০/৪০ জন পুলিশ অবস্থান করছিলো। তারা ঝগড়া থামানোর কাজ না করে আসামি ধরাতেই ব্যস্ত ছিল। মোবারক গ্রামের কোনো ঝগড়া-দলাদলিতে ছিলেন না বলেও জানান তার স্ত্রী।

মোবারকের জন্ম এবং বিয়েশাদী সব ঢাকাতেই। বছর চারেক আগে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে আসেন মোবারক। কিন্তু গ্রামের দাঙ্গা পরিস্থিতির কারণে এরমধ্যে দেড়বছর শ্বশুর বাড়িতে কাটাতে হয় তাকে। পরে আবার ঢাকায় চলে যান রিকশা চালাতে।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: