ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে গণআন্দোলোনের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃনমূলের নেত্রী বলেছেন, এনআরসি-সিএবি রুখতে প্রয়োজনে জেলে যাব। শুক্রবার এক বক্তব্যে মমতা বলেন, ইতোমধ্যে পাঞ্জাব, কেরালা রাজ্য সরকার সিএবি এবং এনআরসি চালু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘এর জন্য আমাদের জেলে পাঠাতে পারে। আরও অনেক বেশি অত্যাচার করতে পারে। কিন্তু তার জন্য আমরা প্রস্তুত। কোনো অবস্থাতেই দেশকে দ্বিখণ্ডিত-ত্রিখণ্ডিত হতে দেব না।’ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা জানিয়েছে, গণআন্দোলোনের ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সোমবার থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিশাল মিছিল হবে। সোমবার বেলা ১টায় আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হবে জোড়াসাঁকোতে। মঙ্গলবার মিছিল শুরু হবে দক্ষিণ কলকাতায় যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে এবং শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে গিয়ে। বুধবারও হবে মিছিল।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ সাধারণ মানুষকে এই গণআন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বলেন, কোনো এনআরসি নয়, কোনো সিএবি নয়। আইন পাস হলেও আমাদের সরকার তা কার্যকর করবে না। সবাইকে বলছি, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করুন। সব রাজ্যে গণআন্দোলন করুন। বাংলাতেও গণআন্দোলন গড়ে তুলুন।
মমতা আরো বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের আলাদা আলাদা আবেগ রয়েছে। সেই আবেগে আঘাত হানবেন না। তাতে আগুন জ্বলবে। আর সেই আগুনের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবেন না।
গোটা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’ বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার পর বিজেপি ওয়াশিং মেশিন হয়ে গেছে। যে কোনো দুর্নীতি করে বিজেপি থেকে যারা গেছেন, তারাই দুর্নীতিমুক্ত হয়ে গেছেন। এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আমাদের অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে যে সব বিরোধী দল আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাব।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন