৩ দিনের টানা ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে পানি উন্নয়নবোর্ড।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে জেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই ভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে জেলা ব্যপী বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৩ মিলি মিটার। সুরমা নদীর বিপদসীমা ৭.২০ সেন্টিমিটার হলেও অব্যাহত বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৬১ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত ও পাহাড়ী ঢলে হাওর ও নদীর পানি বৃদ্ধি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর,ধর্মপাশা ও দোয়ারাবাজার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা কবলিত এলাকাসহ শহরের জনজীবনে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানি সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর- বিশ্বম্ভরপুর সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রভাবিত হওয়ায় এই দুই উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসেগেছে সদর উপজেলা, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শতাধিক পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষীরা।
সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের গ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মনে হয় বন্যা হয়ে যাবে। বাড়ির পাশের খাল-পুকুর পানিতে ভরে গেছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে নদী ও হাওরগুলোতে। আমরা উপজেলার অনেক এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা পরিষদের প্রস্তুতি রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবক্কর সিদ্দিকী ভুইয়া বলেন, সকাল ১০ পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ৭.৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪১ মমিলিমিটার। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ