কক্ষ দখল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সূর্য সেন হলের ২০৭ নম্বর কক্ষটি নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কক্ষটি এতদিন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য খ. ম. মুহতাসিম মাহমুদ হাসিবের অনুসারীদের দখলে ছিল। সম্প্রতি কক্ষটি খালি হওয়ায় সেখানে নিজের অনুসারী কর্মীকে ওঠানোর চেষ্টা করেন হল শাখা ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-সম্পাদক সিয়াম রহমান।
বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে সিয়াম রহমানের অনুসারীরা হলের অতিথি কক্ষে ও মুহতাসিম মাহমুদ হাসিবের অনুসারীরা দোকানের সামনে জড়ো হন। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি।
পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, মুহতাসিম মাহমুদ হাসিব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক এবং সিয়াম রহমান ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সমর্থক হিসেবে রাজনীতি করেন।
এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ছাত্রলীগে আমার বা কারও অনুসারী নেই। এখানে সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। এখন তাদের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ঘটনার পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, তিনি তখনও ঘটনাটি ভালোভাবে জানেন না। গতকাল বুধবার তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই পক্ষেরই বক্তব্য শোনা হচ্ছে। কমিটি বুধবার প্রতিবেদন দেবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ