একদিবসী ক্রিকেটে বাংলাদেশ যেকোনো কন্ডিশনেই তিন পেসার নিয়ে খেলতে অভ্যস্ত।
অথচ টেস্ট ক্রিকেটে দুই পেসার নিয়েই খেলতে যত অরুচি! সিলেট টেস্টে মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে খেলল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় টেস্টে দু’জন মিলে মাত্র একটি উইকেট পেয়েছেন।
ঢাকা টেস্টে অভিষিক্ত খালেদ আহমেদকে পেয়ে টেস্ট বোলারের অভাব পূরণের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোচ ও ক্রিকেট লিখিয়ে জালাল আহমেদ চৌধুরী খালেদ সম্পর্কে বলেন, ‘তার বোলিংটা দেখতে বেশ লেগেছে। গতির সঙ্গে ভালো জায়গায় বল ফেলতে পেরেছে। বাউন্সও ভালো। তাকে নিয়ে আশা করাই যায়।’
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই পেসারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
তিনি বলেন, ‘খালেদ নিজের প্রথম টেস্টে ভালো বোলিং করেছে। সে তার প্রথম ওভারে আমার মনে হয় টানা তিনটা বাউন্সার দিয়েছিল। তখন তার সঙ্গে আমি কথা বলি। শুরুতে সে একটু নার্ভাস ছিল।’
২০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে অভিষেক হয় খালেদের। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত খালেদকে নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সাত পেসারের অভিষেক হল। তবে মোস্তাফিজ ছাড়া কাউকেই এখন পর্যন্ত বড় পরিকল্পনার মধ্যে রাখতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
মোস্তাফিজ ইনজুরির কারণে খেলতে পারেন না সব ম্যাচ। ঢাকা টেস্টে খালেদের বোলিং প্রথম ইনিংসে ১৮-৭-৪৮-০। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২-৪-৪৫-০। উইকেট পাননি দুর্ভাগ্যক্রমে। তার বলে দুই ইনিংসে তিনটি ক্যাচ মিস হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ওর কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল। ওর বোলিংয়ে কিছু সহজ ক্যাচ মিস
করেছি আমরা। তাহলে ওর বোলিং ফিগার আরও সুন্দর দেখাত। মাঝে মাঝে ভাগ্যও পাশে থাকা লাগে।’
প্রথম ম্যাচ শেষে ২৬ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘ভালো বোলিং করতে পেরেছি তাতেই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করছি। উইকেট পেলে হয়তো আরও ভালো লাগত। আশা করছি, এই ম্যাচের অভিজ্ঞতায় আরও এগিয়ে যেতে পারব।’
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ