দুইশ’র বেশি বেআইনি ওয়েবসাইটকে বন্ধ করল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার। উদ্যোগটি নিয়েছে দ্য মহারাষ্ট্র সাইবার ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট (এমসিডিসিইউ)। গত এক বছর ধরে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিল ওয়েবসাইটগুলি।
বিষয়টিকে নজরে আসে এমসিডিসিইউর। তারপরই গত অক্টোবরে বেআইনি ওয়েবসাইটগুলির কার্যকলাপে লক্ষ্য রাখার জন্য সাইবার পুলিশের এই বিশেষ দলটিকে (এমসিডিসিইউ) তৈরি করা হয়। আর, তখন থেকেই নিয়মিত নজরদারি চালায় টিমটি।
বেআইনি ওয়েবসাইট বলতে ঠিক কোন ওয়েবসাইটগুলিকে বোঝাচ্ছে? বিষয়টি পরিষ্কার করতে সাইবার পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্রিজেশ সিং বলেন, বেশ কিছু ওয়েবসাইট অবৈধভাবে সিনেমা, টিভি শো, গেম, সফটওয়্য়ার, মিউজিক, ই-বুক ইত্যাদি সাপ্লাই করছিল। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ইউজার সাইটগুলিকে ব্যবহারও করছিলেন। পুরো বিষয়টিকে সামনে আসার পরই সাইটগুলিকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় এমসিডিসিইউ।
তদন্তে উঠে আসে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাইবার পুলিশ সূত্রের খবর, এমসিডিসিইউ গোয়ান্দাদের তদন্তে বেশ কিছু ম্যালিসিয়াস সফটওয়্য়ারের সন্ধান মেলে। যেগুলি অবশ্য গ্রাহকদের ব্যাক্তিগত তথ্যও চুরি করতে পারে। এছাড়া, ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে বেশ কিছু পর্ণগ্রাফিক সাইট রয়েছে। এছাড়া জানা গিয়েছে, এইসব বেআইনি ওয়েবসাইটগুলির জন্যই আনুমানিক ৩০,০০০-৫০,০০০ কোটির (বার্ষিক) লোকসান হয়েছে ভারতীয় মিডিয়া এবং এন্টারটেনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির।
অনেক সময়ই মার্কেটে সদ্য আসা সিনেমাগুলিকে ঘরে বসেই দেখে নেন সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন চলতে থাকে একই ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের এন্টারটেনমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রি। অনেক সিমেনাই আশানুরুপ লভ্যাংশ কামাতে পারে না এই সাইটগুলির জন্যই।
এছাড়া, বেআইনি পর্ণসাইটগুলির জন্য সমাজে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়েছে বেশ খানিকটা। তাই, এই ধরণের সাইটগুলির বন্ধের প্রয়োজন ছিল। এমনই মনে করছেন ইউজারদের একাংশ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ