ফেনীতে ৬ বছরের পালক শিশুকে আগুনের ছ্যাঁকাসহ অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিনী বেগমের বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে বুধবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
পা থেকে মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আর আগুনে ঝলসানোর চিহ্ন। তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালের কাতরাচ্ছে প্রিয়াংকা নামের এই শিশুটি।
এলাকাবাসী জানান, ঢাকায় শাহিনী বেগম নামের এক নারীর কাছে পালক সন্তান হিসেবে থাকত প্রিয়াংকা। কয়েক মাস পরপর ওই নারীর সঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি শহরতলীর শর্শদীর গজারিয়া কান্দি এলাকায় আসত শিশুটি। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে জোহরা বেগম নামে এক প্রতিবেশী শিশুটির কান্না শুনে ওই বাড়িতে যান। এ সময় গুরুতর অবস্থায় দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য মুখে টেপ দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে উদ্ধার করে দুপুর ১ টার দিকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
অন্য আরেকজন জানানা, শিশু মেয়েটিকে যেভাবে পোড়ানে হয়েছে, আসলে এটা খুবই নির্মম। আমরা ওই মহিলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে বলে জানান চিকিৎসক।
ফেনী সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. হাসিবুল করিম বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা হবে, যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ঢাকা পাঠিয়ে দেবো।
আশ্রিত মা প্রায়ই তাকে অমানুষিক নির্যাতন করতো বলে পুলিশকে জানিয়েছে প্রিয়াংকা। অভিযুক্ত ওই নারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
ফেনী পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে, শিশুটিকে এর আগেও নির্যাতন করা হয়েছে। এবং প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
৬ বছর বয়সী শিশু প্রিয়ংকা ৫ বছর ধরে শাহিনী বেগমের কাছেই ছিলো।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ