কি নির্মম, কি পাশবিক! নিজের ছেলের বন্ধুদের ডেকে নিয়ে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করালো সৎ মা। শুধু এখানেই শেষ নয়। এরপর মা নিজেই গলা টিপে হত্যা করেন মেয়েকে। একজন তুলে নিল চোখ। অন্য জন ঢেলে দিল অ্যাসিড। এভাবেই যন্ত্রণায় নিভে যায় একটি শিশুর দীপ শিখা।
এমন অমানবিক ঘটনা সামনে আসে রোববার জম্মু কাশ্মীরের বারামুলায়। গত সপ্তাহে বারামুলার বনিয়ার এলাকার ওই শিশুর বাবা মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে একটি ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন। রোববার ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে তার মেয়ের বিকৃত দেহ উদ্ধার হয়। পরনের জামাকাপড় দেখে তাকে শনাক্ত করেন তার বাবা। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই মেয়ের সৎ মা, সৎ ভাই এবং আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে নারকীয় এই ঘটনার কথা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছেলের সাহায্য নিয়ে সৎ মা মেয়েকে বাড়ির পাশের জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায়। ছেলের বন্ধুদেরও ডাকা হয়। দুষ্কর্মে যোগ দেয় নাসির আহমেদ খান (২৮), কায়সার আহমেদ (১৯) এবং ছেলের বছর চোদ্দোর এক বন্ধু। এর পর সবাই মিলে মেয়েকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয় ওই মহিলা।
পুলিশের দাবি, মহিলার নির্দেশ মতো ওই মেয়ের সৎ ভাই ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। তার পর ওই মহিলাই মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। কুড়াল দিয়ে গোটা মুখে কুপিয়ে বিকৃত করে দেয় সৎ ভাই। কায়সার তার দু’টি চোখই খুবলে তুলে নেয়। এরপর বাড়ি থেকে আনা অ্যাসিডে ঝলসে দেয়া হয় শরীর। অ্যাসিড দিয়ে মুখ-সহ প্রায় সারা শরীর বিকৃত করে দেওয়া হয়। জঙ্গলে দেহ পুঁতে উপরে গাছের ডালপালা চাপা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সবাই।
বীভৎস ও ভয়ানক এই ধর্ষণ ধর্ষণ-খুনের বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছেন পুলিশ কর্মীরাও। উরির মহকুমা পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট) গঠন করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিট। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে কুড়ুল, চোখ তুলে নেওয়ার অস্ত্র এবং একটি অ্যাসিডের বোতল।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ