নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্তের সপক্ষে অনড় রয়েছেন। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সন্তানের মা হয়েছেন মাত্র দুজন বিশ্বনেতা। একজন জেসিন্ডা আর্ডার্ন। অন্যজন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।
জেসিন্ডার কন্যাসন্তান নিভি গেফোর্ড জুন মাসে জন্মগ্রহণ করে। আর্ডার্ন মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে অফিসে ফেরেন গত মাসে। তিনি এখনও তার ১১ সপ্তাহ বয়সী শিশুকে বুকের দুধ দিচ্ছেন।
প্যাসিফিক আইল্যান্ড ফোরামে যোগ দিতে বুধবার আর্ডার্ন দ্বীপরাষ্ট্র নাউরুতে যান। উপ-প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন পিটার্স সোমবার ওই ফোরামে যোগ দেন। সাধারণ নিয়ম অনুসারে, তাদের একসঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল।
বাচ্চাকে একদিন বেশি বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য একদিন দেরিতে যান আর্ডার্ন। এয়ার ফোর্সের একটি বিমান পিটার্সকে নিয়ে যায়। ওই একই বিমান আর্ডার্নকে নাউরুতে নেয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডে ফিরে যায়। এতে প্রায় ৫০ হাজার ডলার মূল্যের জ্বালানি বাড়তি খরচ হয়েছে।
আর্ডার্ন তার সিদ্ধান্তের জন্য সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা ও প্রশংসা উভয়ই শুনেছেন। কেউ মনে করেন, বাচ্চার যত্নে তার সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। অন্যদিকে আর্ডার্নের সমালোচকরা বলছেন, তার উচিত ছিল হয় পিটার্সের সঙ্গেই নাউরুতে যাওয়া অথবা একেবারেই না যাওয়া।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকাকে আর্ডার্ন বলেন, ‘আমি এটা হিসাব করে দেখেছি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে যাতায়াতের জন্য কোনো সাহায্য নেয়ার কথাও ভেবেছি। আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করে দেখেছি।
সেখানে গেলে অল্প সময়ের জন্য যাওয়া যায়, অথবা যাওয়া বাদ দিতে হয়। আমি যদি না যেতাম তাহলেও একই পরিমাণে সমালোচনা শুনতে হতো।’
আর্ডার্ন আরও বলেন, এমনিতেই নাউরুতে তাদের বিমান রাখার কোনো উপায় ছিল না। তাই সেটিকে মার্শাল আইল্যান্ডে এনে রাখতে হতো। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রী প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামে অনুপস্থিত ছিলেন না। তিনি না গেলে এবারই প্রথম ব্যতিক্রম ঘটত।’
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ