দক্ষিন সুরমা লালাবাজার ইউনিয়নের সড়কগুলো বেহাল দশা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

দক্ষিন সুরমা লালাবাজার ইউনিয়নের সড়কগুলো বেহাল দশা

Share This

লালাবাজার: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৬নং লালাবাজার ইউনিয়নের প্রায় সবকটি সড়কের অবস্থা বেহাল। ক্রমশই বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোনো অগ্রগতি। দুর্গতিই এখন গতি! খানাখন্দে গর্তে ভরা রাস্তাগুলো পরিণত হয়েছে ‘মরণ ফাঁদে’। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তবে সড়ক সংস্কারের দাবিতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিক দাবি জানালেও কোনো কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাসেই তা থেমে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালাবাজার বাঘরখলা, হকিয়ার চর, বিবিদইল থেকে লালাবাজার পর্যন্ত সড়কের দশা বেহাল। রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে খানাখন্দে গর্তে ভরা। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্ত কোথাও হাঁটু, কোথাও উরু পর্যন্ত গভীর। দেখলে মনে হবে পুকুর। কিছু কিছু জায়গায় কোনোদিন পিচ ছিল বলে মনে হয় না। রাস্তার বিটুমিন উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে সড়ক অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায়শই এসব গর্তে যাত্রীবাহী গাড়ি দেবে যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শুধু এ রাস্তা নয় বাঘরখলা, হকিয়ার চর পয়েন্ট থেকে নাজির বাজারের ২টি রাস্তা একি বেহাল দশা।

এদিকে পিচ না থাকায় ব্যস্ততম এই রাস্তাগুলো শুষ্ক মৌসুমে পরিণত হয় ধুলোর রাজ্যে আর বর্ষার মৌসুমে পরিণত হয় কাদার বাগাড়ে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসেও মারাত্মক কষ্ট হয়। এ অবস্থায় বিড়ম্বনার শিকার হন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার হয়নি। ফলে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও রাস্তাগুলোর দিকে কারো নজর নেই।

দ্রুত রাস্তাগুলো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকার জনগণ।

এ ব্যাপারে ৬নং লালাবাজার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সফিক মিয়া বলেন, আমি রাস্তার ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না। তবে লোকমুখে শুনেছি আমাদের ইউনিয়নে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যান জামায়াত সমর্থক হওয়ায় ইউনিয়নের যে কোন কাজ খুব ধীর গতিতে হয় এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা ইউনিয়নবাসী যদি জামায়ত সমর্থক ব্যক্তিকে আমাদের মুল্যবান ভোট না দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীকে ভোট দিলে আমাদের ইউনিয়নের এ দশা হতো না। আমরা অন্য উপজেলার রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়।
অপরদিকে তরুন সমাজসেবক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোয়াজিদুল হক তুহিন বলেন প্রত্যেক ৫ বছর পর পর রাস্তা রিপিয়ারিং এর কাজ হয়ে থাকে শুনেছি ডিসেম্বরের মধ্যেই রাস্তা সংস্কার করা হবে তবে অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় আমাদের ইউনিয়নের রাস্তাগুলোর অবস্থা করুন। চেয়ারম্যানের উচিত ছিল ইউনিয়ন পরিশোধ এর তহবিল থেকে ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করার ।

এদিকে লালাবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ার আহমদ ফরহাদ এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান আমি প্রতিদিন হকিয়ারচর পয়েন্ট থেকে লালাবাজার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি রাস্তার এক একটি গর্ত ছোট পুকুরের মত মনে হয়। কয়েক বছর ধরে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে বলে জানাগেলেও আদৌ রাস্তা সংস্কারের কোন খবর নেই। তিনি আরো বলেন আমাদের এই ইউনিয়নের রাস্তার গর্তের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ভুক্তভোগী মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানাচ্ছে তবুও জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার মত ভাব নিচ্ছেন।-সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ