‘পুলিশ কখনো বন্ধু হতে পারে নাই, পারবেও না’ - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

‘পুলিশ কখনো বন্ধু হতে পারে নাই, পারবেও না’

Share This


গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে দৈনিক মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক নাসির উদ্দিনকে সাংবাদিককে মারধর করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুস্তাইন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুলিশ সাংবাদিকের পক্ষে বিপক্ষে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখে পড়লে মুস্তাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হাসানুজ্জামান হীরা ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘এই সাংবাদিক যা করেছে তার জন্য তার মাইর খাওয়াটাই দরকার ছিল। কথায় আছে, মাইরের উপর কোন ওষুধ নাই।’

অন্যদিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক করতে দেখা যায় অন্য পোস্টে। পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরান তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুস্তাইনকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘আইন আপনাকে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার শিক্ষা দেয়নি। দায়িত্ব পালনে কেউ বাধা দিলে ভদ্র ভাবে বুঝিয়ে বলুন।’

সেই স্ট্যাটাসের পাল্টা জবাবে অন্য এক পুলিশ সদস্য বলেন, এই ধরেনের কথা সাধারণ মানুষ থেকে আশা করতে পারি কিন্তু আপনার থেকে নয়।

পুলিশের এমন আচারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক সাধারণ মানুষ বলেন, ‘পুলিশ কখনো সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারে নাই পারবেও না।’

সেই দিনের ঘটনা জানতে চাইলে সাংবাদিক নাসির জানান, প্রেসক্লাব থেকে অফিসে যাওয়ার পথে মৎস্য ভবনের সামনে তাকে আটকে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান সার্জেন্ট মুস্তাইন। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তার সঙ্গে হেলমেট না থাকায় একটি মামলা দিতে চান সার্জেন্ট। মামলা না দেয়ার অনুরোধ করলেও তিনি শোনেননি এবং মামলা দেন। এ সময় নাসির ব্যাগ থেকে নিজের প্রয়জনে ক্যামেরা বের করেন। এ সময় নাসিরের জামার কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মেরে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান সার্জেন্ট মুস্তাইন। এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। তাছাড়া এ নিয়ে নিউজও করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

সেই দিন সাংবাদিক নাসিরের সাথে কি হয়েছিল জানতে চাইলে সার্জেন্ট মুস্তাইন ফোনে বিডি২৪লাইভকে বলেন, এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। প্রসাশন আমাকে চুপ থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে সেই দিন যা ঘটেছে তা আমি পরে জানাবো।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ বলেন, পুলিশের এমন আচারণের গভীর নিন্দা জানাই। ঐ সার্জেন্টকে চাকরিচ্যুত করার জন্য আমার বিশেষ আবেদন রইলো। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কোন পুলিশ এমন দূর ব্যবহার করার সাহস না পায়।