ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বড়চর বাজারে বাস ও অ্যাম্বুলেন্স এর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২জন। এতে শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছে ২০জন। মুমুর্ষ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ’ ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ২জন মারা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা পাপিয়া পরিবহণের দ্রুত গতির বাস ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে আসা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নবীগঞ্জ উপজেলার বড়চর বাজারে পৌঁছা মাত্রই মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বাসের মারাত্মক ধাক্কায় অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাৎক্ষণিক (হবিগঞ্জ-সিলেট) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ প্রেরণ করা হয়। আহতদের অবস্থা বেঘতিক দেখলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, শায়েস্তাগঞ্জ দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থল এ উপস্থিত হয়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স এর যাত্রী অজ্ঞাত (২০) বছরের যুবতি ও (৪০) বছর বয়সী পুরুষসহ ২জন মারা গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আশংকাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালককে সিলেট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম.আতাউর রহমান, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে বিরাট ভাঙ্গন রয়েছে বাসটি গর্তে পড়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেয়। মহাসড়কে ভাঙ্গনের ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। আহতরা হলেন খায়রুণ নেছা(৩৫),শিশু নিলয় (৫), আলিছা বেগম(৩৪), নিলা আক্তার(৩২), পান্না বেগম(২৮), রুমেলা বেগম(২৬), আলহাদী বেগম(৩২)। এ বিষয়ে (হবিগঞ্জ-সিলেট) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী জানান, আমি নিকটে ছিলাম তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আমার গাড়িতে করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে যাই। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার জানান, খবর পেয়ে এসেছি স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জেনেছি ২-৩জন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক। সংবাদটি রাত ১০: ১৫ মিনিটে লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচিয় জানা যায়নি। -সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ
Post Bottom Ad
খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..