এক সময় বাংলাদেশের ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংসটা তাঁরই ছিল। সেই ১৯৯০ সালে, যে সময়টায় বাংলাদেশ কালেভদ্রে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেত, অপরাজিত ৭৮ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলেন। এত ঝলমলে ছিল সেই ইনিংস, হেরে যাওয়া দলে থেকেও ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ! বাংলাদেশের হয়ে খেলেও কেউ ম্যাচ সেরা হয়—এর বিস্ময় বোধটা সেই যুগ দেখার অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউই বুঝবে না।
আজও নিজেকে দলের অপরিহার্য অংশ ভাবেন। মাঠে হয়তো নয়, লড়ে যান কমেন্ট্রি বক্সে। একটা সময় যখন পড়ে পড়ে মার খেয়েছে বাংলাদেশ দল, রমিজ রাজা–সিধুদের মতো ভাষ্যকারদের বিদ্রুপ, সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের কঠিন সময়টায় বারবার বলেছেন, একদিন সুদিন আসবেই।
এসেছে, এই তো সেই সুদিন...
কিন্তু সুখের দিনগুলোতে কষ্টের অতীত ভুলে যেতে নেই। মাঝির ছেলে থেকে কিংবদন্তি বিজ্ঞানী, সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন এপিজে কালাম, কোনো দিন অতীত ভোলেননি। আমাদেরই বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প–উদ্যোক্তা আজাদ প্রোডাক্টসের আজাদ এক সময় রাস্তায় পোস্টার বেচে দিন যাপন করেছেন। সে কথা গর্ব করেই বলেন। আমরা যেন কষ্টমাখা অতীতের কথা ভুলে না যাই। ভুলে না যাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এ পর্যন্ত আসার নায়কদের।
আতহার আলী খান, স্যালুট টু ইউ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন