বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ (পঁয়ষট্টি) টাকা আদায় করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২০০ (দুইশত) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১০০০ (এক হাজার) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা তার বাজার মূল্য দ্বারা সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। এসব পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মারুফ, ঢাকা নেছারিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদরাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা হাবিবুল মতিন সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মুফতী মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা এহসানুল হক ও আহছানিয়া ইনস্টিটিউটটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মদ উছমান গণী প্রমুখ।
গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৬০ টাকা; তার আগের বছর ছিল ৬৫ টাকা।
গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৬০ টাকা; তার আগের বছর ছিল ৬৫ টাকা।