বিশ্বে কভিড মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৬৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯ জন। একদিনে কভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষ মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটিতে ১৩ শ ৫৫ জন মারা গেছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮৭ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫৯ হাজার ১০৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৪ জন।
চীন থেকে শুরু হওয়ার পর ইউরোপের দুই দেশ ইতালি ও স্পেনেকে বিপর্যস্ত করে এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে মহামারীর কেন্দ্রস্থল। বিশ্বের ২০৪টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৭৬০ জন। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯১৫ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ২৪২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ২৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৯৬১ জন। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৪৩ জন।
আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯৬০ জন। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ৩৭৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮৪৯।
একদিনেই যুক্তরাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৬৯ জনের। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ১৬৫ জন।
ইরানে ৩ হাজার ১৬০ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে কভিড। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৬০ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫০ হাজার ৪৬৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৭১১ জন।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় বেলজিয়ামে ১৮৩ জন, জার্মানিতে ১৭৬ জন ও নেদারল্যান্ডসে ১৬৬ জন মারা গেছেন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাজ্যের পরের তিনটি দেশও ইউরোপেরই- নেদারল্যান্ডস ১৩৩৯, বেলজিয়াম ১০১১ ও জার্মানি ৯৯৭। সুইজারল্যান্ডে ১৮ হাজার ৪৭৫ জন আর তুরস্কে ১৫ হাজার ৬৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ হাজার ৮২৮ জন।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে ২ হাজার ৪১৩ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছে ৩৪ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে আক্রান্ত ২ হাজার ৬৯ জন। বাংলাদেশে নতুন দুজন রোগী শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ জনে। মৃতের সংখ্যা আগের মতোই ৬ রয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আক্রান্ত দেশগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ১৬০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিচ্ছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিমানবন্দর বন্ধ করেছে পর্তুগাল সরকার। আফ্রিকার দেশ মালাওয়ি কভিডে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। এদিকে বর্তমান হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আগামী ৬ দিন পর নিউইয়র্কে ভেন্টিলেটার সংকট দেখা দেয়ার শঙ্কা জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর। কভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাতিল করা হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কভিড। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৪৩২ জন। দেশটিতে তিন হাজার ১৯৯ জন মারা গেছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৬ হাজার ৫৭১। মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।
সেই হিসেবে এই ভাইরাসে প্রায় প্রতি ৫ জনে একজন সুস্থ হয়েছে। আর প্রতি ১৯ জনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মোট আক্রান্ত পৌনে ১০ লাখের মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে সেরে উঠেছেন, যা মোট আক্রান্তের এক-পঞ্চমাংশ। -ইন্ডিপেন্ডেন্ট
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন