বৈশাখের আগুন লেগেছে প্রকৃতিতে। বাড়ছে গরম। আর এই হঠাৎ গরমে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছে জনজীবন। সপ্তাহখানেক ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। সূর্য প্রচণ্ড উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সেইসাথে বাড়ছে রোদের তেজও। সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
আজ ১২ বৈশাখ ১৪২৬, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল দুপুরে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাপমাত্রা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। দাবদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল মাদারীপুর জেলায়, ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ময়মনসিংহে ৩৭.২, চট্টগ্রামের রাঙামাটি, কুমিল্লা ও ফেনীতে ৩৮.৪, সিলেটে ৩৮.৩, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮.৫, রংপুর বিভাগের মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৬.৭ এবং বরিশালে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
তবে আট বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে। এই বিভাগের সাতক্ষীরায় ৩৯, যশোরে ৩৯.৩, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৮ এবং কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর এবারই প্রথম এপ্রিলের তাপমাত্রা চরম আকারে ঊর্ধ্বমুখী। বেশিরভাগ আবহাওয়াবিদ বলছেন, আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে ২০১৪ সালের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।
১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এখনো পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। চলতি এপ্রিলে ২০১৪ সালের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা দেখলেও ‘৭২-এর সেই রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে, তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন দেশের মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ