জাহালমের বিষয়টি আবার হাইকোর্টে উঠছে - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

জাহালমের বিষয়টি আবার হাইকোর্টে উঠছে

Share This

‘ভুল আসামি’ হয়ে ২৬ মামলায় প্রায় ৩ বছর কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়া পাটকল শ্রমিক জাহালমের বিষয়টি আবার শুনানির জন্য হাইকোর্টে উঠছে বুধবার।

জাহালমকে আটক ও কারাবাসের ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে দেওয়া দুদকের বক্তব্য সম্বলিত প্রতিবেদনের উপর ওইদিন শুনানি হবে।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমের জামিন আদেশের সময় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, জামিন নেয়ার মাধ্যমেই এ বিষয়টির শেষ হয়ে যাচ্ছে না। এ ঘটনার পেছনের ঘটনা কী, কারা এর সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে।

তখন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জাহালমের ঘটনার বিষয়ে সবিস্তার দুদকের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য চার সপ্তাহের সময় চান। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।

সেই ধারাবাহিকতায় জাহালমের ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে দুদকের বক্তব্য সম্বলিত প্রতিবেদন মঙ্গলবার এভিডেভিট করা হয়েছে। যার ওপর আগামীকাল বুধবার হাইকোর্টে শুনানি হবে বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এই আইনজীবী আরো জানান, ১৮টি ব্যাংক জাহালমের ঘটনায় সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও পাঁচটি ব্যাংককে শুনানিতে পক্ষভুক্ত করার আবেদন করেছে দুদক।

‘ভুল আসামি’ হয়ে ২৬ মামলায় প্রায় ৩ বছর কারাগারে থাকা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওইদিনই মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

ওইদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর অপর পক্ষে ছিলেন জাহালমকে নিয়ে পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

এরপর হাইকোর্টের জামিন আদেশের কয়েক ঘণ্টা পরই কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।

এর আগে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লোকটির বয়স ৩০-৩২ বছরের বেশি না। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না…আমি নির্দোষ।’

আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন এই জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যার কারাবাসের তিন বছর পূর্ণ হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। যেখানে তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।’’

পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

এরপর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। রুলে জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে জাহালমের গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধি ও আইন সচিবের প্রতিনিধিকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সশরীরে হাইকোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত।

সেই ধারাবাহিকতায় তারা সবাই আদালতে হাজির হলে জাহালমের বিষয়ে শুনানি হয়। এরপর হাইকোর্ট জাহালমকে সব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওইদিনই মুক্তির নির্দেশ দেন।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ