রোহিঙ্গাদের কারণে বিপর্যয়ের দিকে কক্সবাজার - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

রোহিঙ্গাদের কারণে বিপর্যয়ের দিকে কক্সবাজার

Share This

রোহিঙ্গাদের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে কক্সবাজার। তাদের বসতি স্থাপন ও জ্বালানির জন্য ইতোমধ্যে উজাড় হয়েছে ৬ হাজার একরের বেশি বনভূমি। প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি ও পাহাড়। এসব কারণে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ধ্বংস হওয়া বনভূমিতে পরিকল্পিতভাবে বনায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। অবশ্য বন বিভাগের দাবি, ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় বনায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা। এখানে রাস্তার দু'পাশে দেখা যেতো পাহাড় আর পাহাড়ে ছোট-বড় গাছ-গাছালি ও সবুজে ঘেরা ফসলি জমি। কিন্তু এখন আর সে দৃশ্য অনেকটাই অনুপস্থিত।

এখন দেখা মিলবে কেবলই ক্ষতচিহ্ন আর রোহিঙ্গাদের বসতি। গত ১৬ মাস ধরে রোহিঙ্গা ও এনজি সংস্থাগুলো যেভাবে পেরেছে সবুজে ঘেরা গাছ-গাছালি, পাহাড় ও ফসলি জমি ধ্বংস করে গড়ে তুলেছে বসতি ও স্থাপনা। ফলে এখন বিপন্ন হতে চলেছে এখানকার জীব-বৈচিত্র্যও। আর নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে স্থানীয়রা।

রোহিঙ্গাদের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে এগুচ্ছে কক্সবাজার। তাই দ্রুত ধ্বংস হওয়া বনভূমিতে পরিকল্পিতভাবে বনায়নের উদ্যোগ নেয়ার দাবি পরিবেশকর্মীদের।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু বলেন, 'পাহাড় রক্ষার জন্য এবং পরিবেশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি, বনায়ন করা হয়নি। আমরা মনে করি পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করা উচিৎ।' 

তবে কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, 'শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠাতে ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় বনায়ন সৃজনের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।'

বনবিভাগের হিসাবে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের ছয় হাজার একর বনভূমিতে। তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি, তা আট হাজার একর বনভূমি ছাড়িয়েছে।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: