সরকার নির্ধারিত নুন্যতম বেতন বোনাসের দাবিতে আজও রাজধানীর পল্লবী, দক্ষিণখান এবং উত্তরখান এলাকায় আন্দোলনে নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ দাবিতে গত তিনদিন ধরে উত্তরা এলাকায় আন্দোলন করে আসছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ভোর থেকেই রাস্তায় নামেন। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে রাস্তায় যানচলাচল। যানজটে আটকা পড়েন শত শত যাত্রী।
রাজধানীর পল্লবী থানার কালসি ২২ তলা ভবনের সামনে সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করেছেন ওই এলাকায় অবস্থিত পোশকার কারখানার শ্রমিকেরা। তারা রাস্তায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলেও ওই এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পল্লবী থানার উপরিদর্শক রাজিব কুমার সরকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, সকাল সাত থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় অবস্থান করছেন। তবে তারা কোন ধংসাত্মক কর্মকান্ডে লিপ্ত হননি। রাস্তায় অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখান থানার আটিপাড়া এলাকার এপিএস গার্মেন্টেসের শ্রমিকেরা ওই এলাকায় ভাঙচুর চালিয়েছে। এছাড়াও একই এলাকার চালাবন এলাকায়ও শ্রমিকেরা জড়ো হচ্ছে।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক রেজাউল হক বলেন, মঙ্গলবার ভোর থেকেই তারা আটিপাড়া ও চালাবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছে। তারা ওই এলাকায় বেশকিছু জায়গায় গার্মেন্টের মধ্যে ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার কামরুজ্জামান সরদার জানান, আজ সকাল থেকে গার্মেন্ট শ্রমিকরা দক্ষিণখান এলাকার কয়েকটি জায়গায় জড়ো হয়েছে। আমরাও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে উত্তরা এলাকায় সরকার নির্ধারিত বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে রাস্তায় নামেন উত্তরা, টঙ্গী, আবদুল্লাহপুর এলাকার পোশাক শ্রমিকেরা। তাদের আন্দোলনের কারণে এসব এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ