জামায়াতই বিএনপির বড় শরিক - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

জামায়াতই বিএনপির বড় শরিক

Share This

আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন খারিজ হয়েছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া জামায়াতে ইসলামীর। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীনতাকামীদের দমনে গণহত্যা, ধর্ষণ, গ্রাম লুটের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দলটির তখনকার শীর্ষ নেতারা। এখনও জঙ্গি-মদদের হাজারো অভিযোগ এই দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ২২টি আসন তাদের ছেড়ে সেই মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামিকেই প্রধান শরিকের মর্যাদা দিল বিএনপি।

নির্বাচনে মূল লড়াই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট বনাম বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের জোটের। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল রোববার। ফলে এই দিনই দুই জোটের আসন ভাগাভাগির চিত্রটা স্পষ্ট হয়েছে।

আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ফেলতে পারলেও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির সঙ্গে কিছুতেই ঐকমত্যে আসতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, জোটের প্রার্থী হিসেবে ২৬টি আসনে লড়বে জাতীয় পার্টি। পাশাপাশি জোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শো আসনেও তাদের প্রার্থী থাকবে।

নিজের এলাকা রংপুর-৩-এর সঙ্গে রাজধানীর অভিজাত এলাকা ঢাকা-১৭ আসনে জোটের প্রার্থী হবেন এরশাদ। এর বাইরে বামপন্থী শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি জোটের হয়ে পাঁচটি আসনে লড়বে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল লড়বে তিনটি আসনে। ৩০০ আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ লড়ছে ২৫৮টিতে।

ভোটের আগে ভাবমূর্তি ফেরাতে কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকীর মতো নামী মুক্তিযোদ্ধাদের দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়েছিল খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।

দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ড পেয়ে ভোটে লড়তে পারছেন না জেলবন্দি খালেদা জিয়া। দলের অস্থায়ী চেয়ারম্যান খালেদাপুত্র তারেক রহমানও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরে লন্ডনে ফেরার।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দাবি করেছিলেন, জামাতকে গুরুত্ব দেবে না প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই তারা বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। কিন্তু ভোটের প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, জামায়াতকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিএনপি। দলের এক নেতার কথায়, অর্থ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়ে বিএনপি পুরোপুরি জামাতের উপর নির্ভরশীল। তাই তাদের গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই।

এ নিয়ে তার যুক্তি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ভাবমূর্তি ভাল। তবে মানুষ তাদের ভোট দেয় না। অথচ জামায়াতে ইসলামির একটা নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ভোট সব আসনে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে হিসেব বদলে দিতে পারে।

জামায়াত অবশ্য ২২টি আসন পেয়ে খুশি নয়। আরও ১০-১২টি আসনে তারা প্রার্থী দেয়ার কথা জানিয়েছে। তবে এই আসনগুলির বাইরে তারা বিএনপি প্রার্থীদেরই সমর্থন করবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ