বন্ধুর অফিসে তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে চাকরি তো হয়নি, বরং নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। নির্মম ওই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে।
জানা গেছে, দিল্লির এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে রোহিত সিংহ তোমর ওই তরুণীকে নিজের এক বন্ধুর অফিসে ডেকে ছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানানোর হুমকি দিলে ওই তরুণীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় রোহিত। চুলের মুঠি ধরে ওই তরুণীকে টেনে নিয়ে গিয়ে তাকে কিল, চড় মারা হয়। তার পেটে লাথিও মারা হয়। করা হয় গালিগালাজ।
পরে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, রোহিত তাকে ওর বন্ধুর ওই বিপিওতে কাজের জন্য ডেকে পাঠায়। সেখানে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার কথা তরুণী পুলিশে জানাবে বলে হুমকি দিলেই রোহিত তাকে মারধর করতে শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২ সেপ্টেম্বর। ওই দিন বিকালে দিল্লির উত্তম নগর এলাকার একটি বিপিওতে ওই ঘটনা ঘটে। বিপিওটি চালান রোহিতের বন্ধু আলি হাসান। ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী ওই বিপিওতে গিয়েছিলেন চাকরির খোঁজে।
রোহিতের বাবা দিল্লি পুলিশের (মধ্য) নারকোটিক্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর অশোক সিংহ তোমর। রোহিতেরই এক বন্ধু গোটা ঘটনার ভিডিও তুলে রাখেন।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, রোহিতের বন্ধু বলছেন; থামো, থামো, আর মেরো না।
ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
তার নির্দেশে শুক্রবার রোহিতকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং ৩৫৪ নম্বর ধারায় রোহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ