ঢাকা : অর্থ আদান-প্রদানের মাধ্যম বিকাশের নামে নানা কৌশলে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র। আর এতে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কখনও লোভ দেখিয়ে, কখনও ভুল করে টাকা চলে গেছে- এমন নানা নাটক করে গ্রাহকের অর্থ লুটছে প্রতারকচক্র।
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ফাঁদ পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর কাছ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। তারা প্রথমে ওই ছাত্রীকে ভুল করে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা চলে যাওয়ার কথা বলে। তারপর বলে ওই টাকা এক মহিলার, তিনি কান্নাকাটি করছেন।
বিকাশ বলা হলেও যে এসএমএসটি আসে তার সেন্ডার ছিল ‘bkach’। এতে বিভ্রান্ত হয়েই ৩৬ হাজার টাকা খোয়ান ঢাবির ওই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম রোমেনা আক্তার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। পরে শাহবাগ থানায় জিডি করেন ওই শিক্ষার্থী (জিডি নম্বর ৪৯১)।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বেলা ১টার দিকে তার মোবাইলে বিকাশ থেকে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল ‘ক্যাশ ইন ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ফ্রম ০১৯৬১-১১৬৮৬৬ সাকসেসফুল।’ পরে ০১৮২৮-২৪৬২৬৯ নম্বর থেকে কান্না করে একজন বলেন, তার নম্বরে অন্য এক নারীর ২৪ হাজার ৫০০ টাকা চলে গেছে। এরপর টাকা ফেরত পাঠাতে তাকে অন্য একটি নম্বর দেয়া হয়।
০১৮৪৮-০৫৪২৮১ এই নম্বরটি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে টাকা পাঠানোর নিয়ম বলা হয় এবং বিকাশ করার জন্য ০১৭৬৫-০৩৩৯৫৮ ও ০১৯৬১-১১৬৮৬৬ নম্বর দুটি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রতারকচক্র কৌশলে তার বিকাশ নম্বর থেকে ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
বিকাশ গ্রাহক অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতারকচক্র একটি স্থান বা বিকাশ এজেন্টের দোকানের কথা বলে, যেটি ওই গ্রাহকের পরিচিত। অনেক সময় পরিচিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু বা স্বজনের মুঠোফোন নাম্বার থেকেও টাকা এসেছে এমন এসএমএস আসে। এই ফাঁদে পড়েন অনেকেই। পরে ওই নাম্বারে কল দিলে জানা যায়, আসলে তিনি এ বার্তাটি পাঠাননি। শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশজুড়ে এ প্রতারণা ফাঁদে পড়ছেন গ্রাহকরা।
তবে পুলিশ বলছে, প্রতারকচক্র নানা ফাঁদে ফেলে বিকাশ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রাহকদের টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদির বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি বিনয়ের সাথে বলছি, একজন গ্রাহকের জন্য আমি তেমন কিছু করতে পারব না।’
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে তাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন তিনি। কোনো এজেন্ট যদি দোষী-সাব্যস্ত হয় বা প্রতারণায় জড়িয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর টাকা খোয়ানোর অভিযোগ সম্পর্কে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘অভিযুক্ত মোবাইল নম্বরগুলো আমরা সার্ভারে পাঠিয়েছি। সার্ভার থেকে লোকেশন জানানো হলেই আমরা অ্যাকশনে যাবো।’-সময়ের সংলাপ24/দিলোয়ার হোসেন/মূলপাতা
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ফাঁদ পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর কাছ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকচক্র। তারা প্রথমে ওই ছাত্রীকে ভুল করে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা চলে যাওয়ার কথা বলে। তারপর বলে ওই টাকা এক মহিলার, তিনি কান্নাকাটি করছেন।
বিকাশ বলা হলেও যে এসএমএসটি আসে তার সেন্ডার ছিল ‘bkach’। এতে বিভ্রান্ত হয়েই ৩৬ হাজার টাকা খোয়ান ঢাবির ওই শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম রোমেনা আক্তার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। পরে শাহবাগ থানায় জিডি করেন ওই শিক্ষার্থী (জিডি নম্বর ৪৯১)।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বেলা ১টার দিকে তার মোবাইলে বিকাশ থেকে একটি এসএমএস আসে। তাতে লেখা ছিল ‘ক্যাশ ইন ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ফ্রম ০১৯৬১-১১৬৮৬৬ সাকসেসফুল।’ পরে ০১৮২৮-২৪৬২৬৯ নম্বর থেকে কান্না করে একজন বলেন, তার নম্বরে অন্য এক নারীর ২৪ হাজার ৫০০ টাকা চলে গেছে। এরপর টাকা ফেরত পাঠাতে তাকে অন্য একটি নম্বর দেয়া হয়।
০১৮৪৮-০৫৪২৮১ এই নম্বরটি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে টাকা পাঠানোর নিয়ম বলা হয় এবং বিকাশ করার জন্য ০১৭৬৫-০৩৩৯৫৮ ও ০১৯৬১-১১৬৮৬৬ নম্বর দুটি দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী প্রতারকচক্র কৌশলে তার বিকাশ নম্বর থেকে ৩৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
বিকাশ গ্রাহক অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতারকচক্র একটি স্থান বা বিকাশ এজেন্টের দোকানের কথা বলে, যেটি ওই গ্রাহকের পরিচিত। অনেক সময় পরিচিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু বা স্বজনের মুঠোফোন নাম্বার থেকেও টাকা এসেছে এমন এসএমএস আসে। এই ফাঁদে পড়েন অনেকেই। পরে ওই নাম্বারে কল দিলে জানা যায়, আসলে তিনি এ বার্তাটি পাঠাননি। শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশজুড়ে এ প্রতারণা ফাঁদে পড়ছেন গ্রাহকরা।
তবে পুলিশ বলছে, প্রতারকচক্র নানা ফাঁদে ফেলে বিকাশ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রাহকদের টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদির বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি বিনয়ের সাথে বলছি, একজন গ্রাহকের জন্য আমি তেমন কিছু করতে পারব না।’
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে তাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন তিনি। কোনো এজেন্ট যদি দোষী-সাব্যস্ত হয় বা প্রতারণায় জড়িয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান তিনি।
ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর টাকা খোয়ানোর অভিযোগ সম্পর্কে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘অভিযুক্ত মোবাইল নম্বরগুলো আমরা সার্ভারে পাঠিয়েছি। সার্ভার থেকে লোকেশন জানানো হলেই আমরা অ্যাকশনে যাবো।’-সময়ের সংলাপ24/দিলোয়ার হোসেন/মূলপাতা