সংবাদ সম্মেলনে দলের দুর্বলতা কোথায়, বলতে চাইলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফি জানালেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুখস্মৃতি নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চায় বাংলাদেশ-
প্রশ্ন : গুঞ্জন রয়েছে, স্কোয়াড নিয়ে আপনার ভিন্ন চাহিদা ছিল ...
মাশরাফি : টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার আগে অযথা বিতর্ক তৈরি করার কোনো মানে হয় না। আমাদের যে দলটি আছে, সেই দল নিয়েই আমরা ভালো খেলতে পারি, এই বিশ্বাস নিয়ে যাওয়া জরুরি।
প্রশ্ন : শেষ তিন এশিয়া কাপ ও এবারের এশিয়া কাপের মধ্যে কী পার্থক্য দেখছেন?
মাশরাফি : আগের দুই-তিন এশিয়া কাপে খেলাটা এবারের টুর্নামেন্ট খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। এবার ফরম্যাট ভিন্ন (আগের আসর ছিল টি ২০)। দুটি দল বাড়ায় প্রথমে নকআউটপর্ব পার করতে হবে। প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : বাস্তবতার নিরিখে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?
মাশরাফি : অন্য দলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। ভারত অনেক ভালো দল। পাকিস্তান বলতে গেলে ঘরের মাঠে খেলবে। (আরব আমিরাত অনেক দিন ধরে পাকিস্তানের হোম ভেন্যু)। তাদের দলে রিস্ট স্পিনার বেশি। আমাদের সামর্থ্য আছে তাদের হারানোর। আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই।
প্রশ্ন : আগের দুই এশিয়া কাপ থেকে এবারের এশিয়া কাপ কী বেশি কঠিন হবে?
মাশরাফি : এবারের আসরও কঠিন হবে।
সেখানে (আরব আমিরাতে) আমরা দল হিসেবে খেলিনি। অনেক জায়গায় আমরা সফল হয়েছি। ভিন্ন কন্ডিশন এখন বড় বিষয় বলে মনে হয় না। আমার কাছে শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : ২৫০ উইকেটের মাইলফলক আপনার সামনে ...
মাশরাফি : অনেকে টুর্নামেন্ট জেতার কথা বলছেন। আমি এমন কথা বলতে চাই না। আমাদের সামর্থ্য আছে। কন্ডিশন, উইকেট, রিস্ট স্পিনাররা কেমন ফর্মে আছে, সব মিলে আমাদের থেকে ভালো দল এই টুর্নামেন্টে রয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে পূরণ করতে পারি, আমার কাছে তা সম্ভব মনে হয়। আমার নিজের কোনো লক্ষ্য থাকে না। চেষ্টা করব অবদান রাখার।
প্রশ্ন : আফগান স্পিন ইস্যু ও রশিদ খান ...
মাশরাফি : ওয়ানডেতে সময় পাওয়া যাবে রশিদকে দেখে খেলার। তাকে বুঝে উঠতে পারা জরুরি। গুগলি বা লেগ-স্পিন বুঝতে হবে। রশিদ খানকে খেলতে সারা বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানেরই সমস্যা হচ্ছে। মানসিকভাবে কিছুটা শক্ত হলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে রশিদ খানের আগে আমাদের শ্রীলংকার স্পিন, পেস বোলিং হ্যান্ডেল করা বেশি জরুরি। প্রথম ম্যাচ জিতলে রশিদ, মুজিব, নবীদের সামলানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : দলের দুর্বলতা কোথায়?
মাশরাফি : আসলে দুর্বলতা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। একটা দল টুর্নামেন্টে যাচ্ছে, এখন ইতিবাচক কথা বলাই ভালো। প্রতিটি দলেরই দুর্বলতা থাকে। আমাদেরও আছে। আমরা সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। যে কোনো টুর্নামেন্টে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে যাওয়া উচিত। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে, টি ২০ সিরিজ জিতে এসেছি। খেলোয়াড়রা সবাই ছন্দে আছে।
প্রশ্ন : কোহলিবিহীন ভারত ও এশিয়া কাপ ...
মাশরাফি : এটা ভারতের ব্যাপার। কোহলি না থাকায় তারা কিভাবে মাইন্ডসেট করবে, সেটা তাদের বিষয়। কোহলি থাকতেও আমরা তাদের হারিয়েছি। আবার অন্য দলের জন্য কোহলির না থাকাটাও অনেক বড় সুবিধা, এটাও সত্যি।
প্রশ্ন : আমিরাতের উইকেটে তামিম-মাহমুদউল্লাহর পিএসএল অভিজ্ঞতা কী কাজে দেবে?
মাশরাফি : তাদেরও দায়িত্ব আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করছে। যদি মাঠ বা আউটফিল্ড আমাদের পক্ষে না থাকে, তাহলে পারফর্ম করতে পারব না, এই বিশ্বাস নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, তামিম, মুশফিক খেলেছে সেখানে। তাদের কাছে সবাই আশা করে। আর যাদের তরুণ বলা হচ্ছে তারাও তিন-চার বছর দলের সঙ্গে খেলছে। তিন বছর খেলার পর কাউকে তরুণ বলা উচিত নয়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের জন্য কোন দল বড় হুমকি?
মাশরাফি : আমাদের জন্য সবাই হুমকি। ছয় দল পর্যন্ত যাওয়ার আগে আমাদের তিনটা দলের সঙ্গে খেলা হবে। আফগানিস্তানের বোলিং শক্তি, শ্রীলংকার অলরাউন্ড-সামর্থ্য, সবদিক বিবেচনা করলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
প্রশ্ন : ২৫০ উইকেটের মাইলফলক আপনার সামনে ...
মাশরাফি : অনেকে টুর্নামেন্ট জেতার কথা বলছেন। আমি এমন কথা বলতে চাই না। আমাদের সামর্থ্য আছে। কন্ডিশন, উইকেট, রিস্ট স্পিনাররা কেমন ফর্মে আছে, সব মিলে আমাদের থেকে ভালো দল এই টুর্নামেন্টে রয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে খুব বেশি পার্থক্য নেই। পার্থক্যটা আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে পূরণ করতে পারি, আমার কাছে তা সম্ভব মনে হয়। আমার নিজের কোনো লক্ষ্য থাকে না। চেষ্টা করব অবদান রাখার।
প্রশ্ন : আফগান স্পিন ইস্যু ও রশিদ খান ...
মাশরাফি : ওয়ানডেতে সময় পাওয়া যাবে রশিদকে দেখে খেলার। তাকে বুঝে উঠতে পারা জরুরি। গুগলি বা লেগ-স্পিন বুঝতে হবে। রশিদ খানকে খেলতে সারা বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানেরই সমস্যা হচ্ছে। মানসিকভাবে কিছুটা শক্ত হলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে রশিদ খানের আগে আমাদের শ্রীলংকার স্পিন, পেস বোলিং হ্যান্ডেল করা বেশি জরুরি। প্রথম ম্যাচ জিতলে রশিদ, মুজিব, নবীদের সামলানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : দলের দুর্বলতা কোথায়?
মাশরাফি : আসলে দুর্বলতা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। একটা দল টুর্নামেন্টে যাচ্ছে, এখন ইতিবাচক কথা বলাই ভালো। প্রতিটি দলেরই দুর্বলতা থাকে। আমাদেরও আছে। আমরা সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। যে কোনো টুর্নামেন্টে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে যাওয়া উচিত। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে, টি ২০ সিরিজ জিতে এসেছি। খেলোয়াড়রা সবাই ছন্দে আছে।
প্রশ্ন : কোহলিবিহীন ভারত ও এশিয়া কাপ ...
মাশরাফি : এটা ভারতের ব্যাপার। কোহলি না থাকায় তারা কিভাবে মাইন্ডসেট করবে, সেটা তাদের বিষয়। কোহলি থাকতেও আমরা তাদের হারিয়েছি। আবার অন্য দলের জন্য কোহলির না থাকাটাও অনেক বড় সুবিধা, এটাও সত্যি।
প্রশ্ন : আমিরাতের উইকেটে তামিম-মাহমুদউল্লাহর পিএসএল অভিজ্ঞতা কী কাজে দেবে?
মাশরাফি : তাদেরও দায়িত্ব আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করছে। যদি মাঠ বা আউটফিল্ড আমাদের পক্ষে না থাকে, তাহলে পারফর্ম করতে পারব না, এই বিশ্বাস নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, তামিম, মুশফিক খেলেছে সেখানে। তাদের কাছে সবাই আশা করে। আর যাদের তরুণ বলা হচ্ছে তারাও তিন-চার বছর দলের সঙ্গে খেলছে। তিন বছর খেলার পর কাউকে তরুণ বলা উচিত নয়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের জন্য কোন দল বড় হুমকি?
মাশরাফি : আমাদের জন্য সবাই হুমকি। ছয় দল পর্যন্ত যাওয়ার আগে আমাদের তিনটা দলের সঙ্গে খেলা হবে। আফগানিস্তানের বোলিং শক্তি, শ্রীলংকার অলরাউন্ড-সামর্থ্য, সবদিক বিবেচনা করলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ