পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

Share This

ঢাকা : আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে আখেরি নবী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) পবিত্র মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের শেষ ২৩ বছর নবুয়তের দায়িত্ব পালন শেষে আবার এ মাসেরই ১২ তারিখে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ওফাত লাভ করেন। অনাচার-পাপাচারে নিমজ্জিত আরবে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে ইসলামের মডেল উপস্থাপনের এক মহান দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এই ইসলামই মহান আল্লাহ তায়ালার মনোনীত ও মহানবী (সা.) উপস্থাপিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য সারাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের মুসলমানেরা প্রতি বছর হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী, সিরাতুন্নবী, নবী দিবস ইত্যাদি নামে পালন করে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষে মাসব্যাপী রাসূল (সা.)- এর প্রতি দুরুদ পাঠ, তার জীবনী ও আদর্শ আলোচনা, আনন্দমিছিল, স্বাগতমিছিল প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করা হয়। রাসূলকে (সা.) দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য। আর তা ছিল দুনিয়ায় প্রচলিত সব বিধিবিধান ও ব্যবস্থার ওপরে আল্লাহর দেয়া দ্বীন বা জীবনব্যবস্থাকে রাষ্ট্র ও সমাজে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী দুনিয়াকে পরিচালিত করে দুনিয়ায় শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং পরকালে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে চিরসুখের জান্নাত লাভের জন্য পাথেয় অর্জন করা। রাসূল (সা.) নিজের ৪০ বছর বয়সে তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনে আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। রাসূল (সা.) আল্লাহ-প্রদত্ত অহির জ্ঞানের আলোকে নানা বাধাবিঘ্ন-অত্যাচার-জুলুমের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষের কল্যাণ সাধন করাই ছিল রাসূল (সা.)-এর সব কাজের লক্ষ্য। মানুষের কল্যাণচিন্তায় হেরা পাহাড়ের গুহায় ধ্যানরত অবস্থায়ই তার ওপর সর্বপ্রথম অহি নাজিল হয়। নিজের ৪০ বছর বয়সে সেই অহিপ্রাপ্তির মাধ্যমেই নবুয়ত লাভ করেন তিনি। নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মদিনা সনদ তৈরি, বদর যুদ্ধে বিজয়, উহুদের যুদ্ধে সাহসী ভূমিকা, হুদাইবিয়ার সন্ধি এবং রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের ঘটনাসহ বহু ঘটনা থেকে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় ফুটে ওঠে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক। তিনি তদানীন্তন আরবে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, প্রাশাসনিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন, তার নজির পৃথিবীতে নেই। তিনি ধর্মের নামে অনাচার, ব্যভিচার, কুসংস্কারের অবসান ঘটিয়ে সুস্থ-সুন্দর একটি মানবিক ব্যবস্থা মানবজাতিকে উপহার দেন। সামাজিক ক্ষেত্রে তিনি যে সংস্কার করেন তা ছিল এক কথায় অনন্য-অসাধারণ। তিনি সব নাগরিকের সমান অধিকার, বাকস্বাধীনতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুদকে হারাম করে মুনাফাভিত্তিক ইসলামি অর্থনতি চালু করেন। ধনীদের সম্পত্তিতে গরিবের অধিকার আছে ঘোষণা দিয়ে জাকাতের বিধান দেন। তিনি নারী-পুরুষ সবার জন্য জ্ঞান অর্জকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা দেন। নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। দাসদের সামাজিক মর্যাদা প্রদান করেন।