বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এক্ষুনি সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে দেশটির জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুলিশি হয়রানি, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনরোধে বৃহস্পতিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে এসে এ দাবি জানান।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এসেছি। নির্বাচন কমিশন আগে বলেছিল ১৫ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করবে। এরপর বলল ২৪ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েন করবে।যেহেতু পুলিশ আমাদের ধরছে, গ্রেফতার করছে, তাই আমরা চাই এই মুহূর্তে সেনা নামানো হোক।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, যত সময় গড়াচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছি। তাই আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু। বৃহস্পতিবার তিনি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নির্বাচন কমিশনে চিঠিটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন সহিংসতা ও হামলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইসি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারদলীয় প্রার্থীদের পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠায় তাদের রদবদল করার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ইসিকে ভূমিকা রাখার দাবি জানানো হয়েছে আইনি নোটিশে।
এমতাবস্থায় শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে দেশব্যাপী বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচকে কেন্দ্র করে তৃতীয় শক্তির উত্তান বা ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়েছেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।এসময় সিইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সব জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), সব জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘প্রচারণার প্রথম দিনের সহিংসতার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ভাবা ঠিক হবে না। এর পেছনে তৃতীয় কোনো শক্তির ইন্ধন আছে কিনা তা খতিতে দেখতে হবে। ভোটের ভাগ্য যাতে মাস্তান-সন্ত্রাসীদের হাতে চলে না যায়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যখন স্বতঃস্ফূর্ত গনজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে, তখনই খুনের ঘটনা, হামলার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করার কোনো কারণ নেই।’
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ