সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব কাটতে না কাটতে বর্ষার শুরুতে ঝড়ো হওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম বিভাগে বুধবারও অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়াবিদরা পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মঙ্গলবার ভোর থেকে রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় অন্তত ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছ।
বাংলা পঞ্জিকায় বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ় শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। তবে মৌসুমী বায়ু উপকূল পেরিয়ে দেশের ভেতরে বিস্তৃত হয়েছে বেশি কিছুদিন আগেই।
সপ্তাহের শুরুতে নিম্নচাপের পর এখন আবার উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (বর্ষা) প্রভাবে বুধবার বিকাল ৫টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
“ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও থাকে।”
সোমবার রাঙামাটিতে ৩৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টির পর মঙ্গলবারও ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন