মনোনয়ন পেয়ে মদপান, আ. লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর মৃত্যু - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

মনোনয়ন পেয়ে মদপান, আ. লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর মৃত্যু

Share This


বাবলু ইসলাম
অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সম্বন্ধী বাবলু ইসলাম (৫০) মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলুর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর মৃত্যুর সনদে চিকিৎসক আননোন পয়জোনিং অর্থাৎ অজ্ঞাত বিষক্রিয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। 

এদিকে, বাবলু ইসলাম মারা যাওয়ায় পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক আসাদুজ্জামান আসাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে আইসিইউতে নেওয়ার সময় ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ডাক্তারদের তেমন কিছুই করার ছিল না। অবশেষে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যু সনদে অজ্ঞাত বিষক্রিয়ার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়র প্রার্থী বাবলু ইসলামকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়ানী পৌরসভার কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, বাবলু ইসলাম নিয়মিত মদপান করতেন। বছর খানেক আগে পরিবারের লোকজন তাঁকে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আর মদ পান করবেন না। কিন্তু তিনি তাঁর কথা রাখতে পারেননি। কিছুদিন পর আবারও তিনি মদে আসক্ত হয়ে পড়েন।

সবশেষ গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন আনার পর সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে মদ পান করেন তিনি। আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাঁকে  বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক মিজানুর রহমান তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। 

বাবলু ইসলামের স্ত্রী দিপালী খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মদপান করতেন। তবে বুধবার রাতে তিনি মদ পান করেছেন কি না, সেটা আমার জানা নেই।’

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাবলু মদপান করে অসুস্থ হয়েছিলেন কি না, সেটা বলতে পারছি না। তবে তাঁকে যখন বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তাঁর মধ্যে এক ধরনের মানসিক উত্তেজনা ও চোখ-মুখের সিনটম অসংলগ্ন ছিল। 

রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বাবলু ইসলামের স্ত্রী দিপালী খাতুন ও ছেলে বাপ্পি আহমেদ তাঁর কাছে স্বীকার করেছেন, বুধবার রাতে বাবলু ইসলাম অতিরিক্ত মদ পান করেছিলেন। স্ত্রী ও সন্তান নিষেধ করলেও তিনি তাঁদের কথা উপেক্ষা করেছেন। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর পরই কেন তাঁকে রামেক হাসপাতালে আনেননি, ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামালের এমন প্রশ্নের জবাবে বাবলু ইসলামের স্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজেই হাসপাতালে আসতে রাজি হননি। 

কোন মন্তব্য নেই: